জাকার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রক মঙ্গলবার বলেছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের প্রতিনিধিরা এই মাসের শুরুতে একটি অনানুষ্ঠানিক সফরে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করেন যদিও কাবুল বলছে প্রতিনিধিরা বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির রাজনীতিবিদদের সাথে বৈঠক করেছে।
২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা ফিরে পাওয়া তালিবান প্রশাসন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আবেদনসহ সমগ্র ইসলামি বিশ্ব জুড়ে তাদের শাসনের স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে।
কিন্তু ইন্দোনেশিয়া আফগান তালিবান সরকারের বৈধতা এখনো স্বীকার করেনি।
আফগান উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র হাফিজ জিয়া আহমাদ ১৪ জুলাই টুইট করেছেন, তাদের সরকারের শীর্ষ কূটনীতিকদের একজন ইন্দোনেশিয়ায় একটি "প্রতিনিধিদলের" নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তবে, ইন্দোনেশিয়ার কোন রাজনীতিবিদরা আফগান প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাত করেছেন, তা প্রকাশ করেননি ওই কর্মকর্তা।
আহমাদ তার টুইটে বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীতে থাকাকালীন আফগান প্রতিনিধিরা শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুরের কূটনীতিকদের সাথেও দেখা করেছেন।
তালিবান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দেশ বা বিশ্ব সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত নয় এবং আফগানিস্তানে মাত্র কয়েকটি দেশের উপস্থিতি রয়েছে।
তালিবান দখলদারিত্বের পর, কাবুলে বন্ধ হয়ে যাওয়া দূতাবাস গত বছর পুনরায় চালু করে জাকার্তা।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, তালিবান কর্তৃপক্ষ নারীদের বিউটি পার্লার বন্ধ করে দিয়েছে এবং কমপক্ষে দুটি প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। শাসকরা বলছে, এর মাধ্যমে তারা তাদের শরিয়া, বা ইসলামিক, আইনের ব্যাখ্যার সমস্ত দিক সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে চলেছে৷
গত মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বিশেষ আফগানিস্তানের র্যাপোর্টিয়ার রিচার্ড বেনেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির শাসকরা "লিঙ্গ বর্ণবৈষম্যের জন্য দায়ী" এবং আইনের কঠোর সংস্করণের অধীনে নারী ও মেয়েদের দুর্দশাকে অতিমাত্রায় বাড়িয়ে তুলছে।