সোমবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে থাকা এক তরুণীর মৃত্যুর পর গত বছর সৃষ্টি হওয়া গণ বিক্ষোভের সময় "দাঙ্গা উষ্কে দেবার" অভিযোগে ইরান কর্তৃপক্ষ একটি শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কঠোর পোশাক নীতি লঙ্ঘন করার জন্য গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে ইরানি কুর্দি মাহসা আমিনির (২২) সেপ্টেম্বরে মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ ইরানকে নাড়িয়ে দেয়।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ ইরানের বেসরকারি স্কুলের প্রধান আহমেদ মাহমুদজাদেহকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “আমরা শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে গাজ শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করার জন্য একটি পরোয়ানা প্রস্তুত ও জারি করেছি।”
ইরানের সংস্কারবাদী সংবাদপত্র শারঘ ডেইলি প্রতিবেদন করেছে যে, গাজ শিক্ষা কেন্দ্র বিশিষ্ট ভিন্নমতালম্বী ফারোখি ইয়াজদির বিপ্লবী কবিতার উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছে।
গাজ শিক্ষা কেন্দ্র ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ও অন্যান্য বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে। তারা প্রকাশনার জন্য কয়েক বছর ধরে একাধিক পুরস্কার জিতেছে।
গত বছরের বিক্ষোভে কয়েক ডজন নিরাপত্তা কর্মীসহ কয়েকশো মানুষ নিহত হয়েছে এবং আমিনির মৃত্যুর পর বিদেশী দেশগুলোর দ্বারা প্ররোচিত “দাঙ্গা” হিসেবে সেটিকে লেবেল করে কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা এবং অন্যান্য সহিংসতার সাথে জড়িত বিক্ষোভ সংক্রান্ত মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
রবিবার ইরানের পুলিশ বলেছে, তারা পোশাক বিধি লঙ্ঘনে “জোর” করে এমন নারীদের মোকাবিলা করার জন্য নীতি পুলিশের টহল পুনরুদ্ধার করেছে।