দুর্নীতির অভিযোগে মোজাম্বিকের সাবেক অর্থমন্ত্রী ম্যানুয়েল চ্যাংকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরের পর বৃহস্পতিবার তাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। তার ঐ দুর্নীতির ফলে মোজাম্বিকে আর্থিক সংকটের সৃষ্টি হয় এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
চ্যাংকে মঙ্গলবার আমেরিকান একটি বিমানে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিউ ইয়র্কে নিয়ে আসা হয় এবং এখানেই তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হবে।
মোজাম্বিককে আর্থিক সংকটে ফেলে দেওয়া ২’শ কোটি ডলারের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে ধরার জন্য খোঁজা হয়েছিল।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গ্রেপ্তারী পরোয়ানার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাংকে আটক করা হয়েছিল।
চ্যাংকে তার নিজদেশে ফেরত পাঠানো হবে না কি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে তা নিয়ে বছরেরপর বছর ধরে আইনি দ্বন্দ্ব চলে।
চ্যাংয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলির জন্য আন্তর্জাতিক ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে ঋণ পেতে কয়েক মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ঐ ঋণগুলি সামুদ্রিক নানা প্রকল্পের জন্য ছিল। যেমন টুনা মাছ ধরার যান, যা পরে "অদৃশ্য ঋণ" বা "টুনা" কেলেঙ্কারি হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, যারা ঐ জালিয়াতির শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে আমেরিকান বিনিয়োগকারীরাও রয়েছেন।
২০১৬ সালে ঋণের পরিমাণ যখন জানা যায় তখন বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ মোজাম্বিককে সহায়তা দেয়া প্রত্যাহার করে নেয়।
প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলারের হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি এবং ঘুষ দেয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ রয়েছে।
চ্যাং কোনও অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন।
চ্যাংকে হস্তান্তরের আগে মোজাম্বিক সরকার আবার বলেছে তারা চায় চ্যাং ‘এর বিচার স্বদেশেই হোক।