অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ এইডস বিলুপ্ত করা যেতে পারে, বলছে জাতিসংঘ


সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউএনএইডস-এর সদর দপ্তর। ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউএনএইডস-এর সদর দপ্তর। ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ বলেছে, যদি দেশগুলো প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় বিনিয়োগ করার রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন করে এবং বৈষম্যহীন আইন গ্রহণ করে তাহলে ২০২৩ সালের মধ্যে এইডস বিলুপ্ত করা সম্ভব।

ইউনাইটেড নেশন্স এইডস প্রোগ্রাম ইউএনএইডস অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্ব জুড়ে আনুমানিক ৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষ এইচআইভি নিয়ে বেঁচে আছে। চিকিৎসা না করা হলে এইচআইভি এইডসে পরিণত হতে পারে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইউএনএইডস বলেছে, “যদি আমরা সেই দেশগুলোর নেতৃত্বকে অনুসরণ করি যারা জনগণকে অগ্রাধিকার দেয় এবং প্রমাণ-ভিত্তিক এইচআইভি প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করার জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে, তাহলে আমরা এর সমাধান করতে পারি।”

এটি বলেছে, এইচআইভির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিক্রিয়ার অর্থ হলো বৈষম্যহীন আইন গ্রহণ করা এবং অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে কমিউনিটি নেটওয়ার্ককে ক্ষমতায়ন করা। অনেক দেশে এইচআইভি বা এইডস আক্রান্ত বাসিন্দারা কলংক, বৈষম্য এবং সহিংসতার সম্মুখীন হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সেসব অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে, যেসব দেশ এবং অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আর্থিক বিনিয়োগ রয়েছে। যেমন পূর্ব এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়, যেখানে নতুন এইচআইভি সংক্রমণ ২০১০ সাল থেকে ৫৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।”

এতে আরও বলা হয়েছে, তবে পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় নতুন সংক্রমণের তীব্র বৃদ্ধি ঘটেছে।

ইউএনএইডস অনুসারে, গত বছর ১৩ লাখ মানুষ এইচআইভিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে এবং ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ এইডস সম্পর্কিত অসুস্থতায় মারা গিয়েছে।

XS
SM
MD
LG