গাম্বিয়া দুই সপ্তাহের মধ্যে ২৯৬ জন অভিবাসীর প্রত্যাবাসন করেছে। এদের অর্ধেকের বেশি লিবিয়ায় আটকা পড়েছিল। রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রক একথা জানায়।
সেনেগাল, মৌরিতানিয়া এবং মরক্কো কর্তৃপক্ষ পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির নাগরিক বহনকারী নৌকাগুলোকে আটকানোর পরে ২১ জুন থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে ১৪০ জন গাম্বিয়ানকে প্রত্যাবাসিত করা হয়েছিল বলে মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনটি নৌকায় মোট ২৩১ জন গাম্বিয়ান ছিলেন। কিন্তু ফেরত আসার আগে অনেকেই ‘পলাতক’ হয়ে গেছে।
তারা আরও বলে, ২৪ জুন ১৫৬ জন গাম্বিয়ানকে লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল। সেখানে তারা আটকা পড়েছিল।
বুধবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তিউনিসিয়ার বিরুদ্ধে করেছে যে স্ফ্যাক্স শহরে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পরে ২ জুলাই থেকে লিবিয়ার সীমান্তের নিকটবর্তী মরুভূমি অঞ্চলে শত শত সাব-সাহারান আফ্রিকানকে বহিষ্কার করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "তিউনিসিয়ায় অভিবাসীদের উদ্বেগজনক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার বিষয়ে… তাদের সংখ্যা নিশ্চিত করতে এবং তাদেরকে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের জাতীয়তা যাচাই করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।"
এই বছরের শুরুতে বুরকিনা ফাসো, গিনি, আইভরি কোস্ট, মালি এবং সেনেগালসহ পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো তিউনিসিয়ায় বর্ণবাদী হামলার প্রেক্ষিতে সেখান থেকে কয়েকশো নাগরিককে প্রত্যাবাসন করেছে।
তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট অপরাধের জন্য "সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে আগত অবৈধ অভিবাসীদের" দোষারোপ করার এবং দেশের জনসংখ্যার ধরণ পরিবর্তন করার জন্য একটি “অপরাধ চক্রান্ত” বলে অভিযোগ করার পরে নাগরিক প্রত্যাবাসনের এই ঘটনা ঘটে।