উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করেছে, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি বিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তারা সতর্ক করেছে যে পিয়ংইয়ং সংযত থাকলেও এই ধরনের বিমানকে গুলি করে নামানো হতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অজ্ঞাতনামা এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন উস্কানিমূলক সামরিক ক্রিয়াকলাপ কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই বিবৃতিটি এসেছে সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ মারফত।
ওই রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি বিমান ও ড্রোন ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, এই উপদ্বীপের কাছে পারমাণবিক ডুবোজাহাজ পাঠিয়ে ওয়াশিংটন উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে।
এই মুখপাত্র জানিয়েছেন, কোরিয়ার পূর্ব দিকের জলসীমায় "যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর নজরদারি বিমান ফেলে দেবার মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যে ঘটবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।"
অতীতে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে ও উপকূলের অদূরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান গুলি করে নামানো বা বাধা দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। উপদ্বীপের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি বিমান নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের দাবি সত্য নয়। তারা বলেছে, উপদ্বীপের চারপাশে নজরদারি করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়মিত চালনা করা হয়। এরই সাথে তারা যোগ করে, উত্তর কোরিয়াকে নজরে রাখতে মিত্রশক্তি মিলিতভাবে কাজ করছে।