পাঁচ দিনের সফরে রবিবার ইউরোপে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ব্রিটেনে সফরের মধ্য দিয়ে তাঁর ইউরোপ যাত্রার সূচনা হচ্ছে। সেখান থেকে তিনি লিথুয়ানিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ভিলনিয়াসে যাবেন নেটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। এরপর নর্ডিক নেতাদের সাথে দেখা করার জন্য ফিনল্যান্ডে যাবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
লন্ডনে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং রাজা চার্লসের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য জলবায়ু ইস্যুতে অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করবেন বাইডেন।
মাত্র এক মাস আগে, ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজে সুনাককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সে সময় "আটলান্টিক ঘোষণা"তে সম্মত হন বাইডেন এবং সুনাক। ওই ঘোষণায় উন্নত প্রযুক্তি, পরিচ্ছন্ন জ্বালানী এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ইস্যু নিয়ে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন দুই নেতা।
এবারের নেটো শীর্ষ সম্মেলনে, পশ্চিমের প্রধান সামরিক জোটে সুইডেনের যোগদানসহ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইকে শক্তিশালী করার জন্য তাদের সর্বশেষ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন পশ্চিমা নেতারা। সুইডেনের যোগদানের ব্যাপারে ২৯টি নেটো সদস্য দেশ সম্মত হলেও আপত্তি জানিয়ে আসছে, হাঙ্গেরি এবং তুরস্ক। এছাড়া, ইউক্রেনের এই ব্লকে যোগদানের বিষয়টিও এজেন্ডায় থাকবে।
তবে, গত সপ্তাহে সিএনএন-এ প্রচারিত এক সাক্ষাত্কারে বাইডেন বলেছিলেন, তিনি মনে করেন ইউক্রেনের নেটোতে যোগদানের বিষয়ে ভোটের আহ্বান করার সময় এখনো আসেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নেটোভুক্ত দেশগুলি ইউক্রেনে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে। কিন্তু কিয়েভের বাহিনী রাশিয়া থেকে আগত শত শত ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে ভূপতিত করার পরও, রাশিয়ার বিমান এবং বোমা হামলা ইউক্রেনের ডজন ডজন বেসামরিক নাগরিক হত্যা করে যাচ্ছে, ধ্বংস করছে একের পর এক আবাসিক ভবন।
নেটো শীর্ষ সম্মেলন শেষ করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সৃষ্ট সামরিক জোটে সম্প্রতি ফিনল্যান্ড যোগদানের পর, তাদের স্বাগত জানাতে দেশটির রাজধানী হেলসিঙ্কিতে যাবেন বাইডেন। সেখানে তিনি নর্ডিক নেতাদের সাথে দেখা করবেন।
গত মাসে হোয়াইট হাউজে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে আমন্ত্রণ জানানোর কয়েকদিন পর বাইডেনের সাথে দেখা করেন নেটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। সে সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বাইডেন এবং স্টলটেনবার্গ।