পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কার মধ্যে আবহাওয়াজনিত ঘটনায় আট শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যুর পর বর্ষার দুই সপ্তাহের বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা অন্তত ৫৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আগের দিন পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে, অনেক রাস্তা প্লাবিত হয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। বুধবার থেকে ছাদ ধসে পড়া এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহরে ১৯ জন মারা গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাকিস্তানের আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা শহরটিতে আরও বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের শংলা জেলায় প্রবল এক ভূমিধসে অন্তত আট জন শিশু মারা গেছে। অন্য নিখোঁজ শিশুরা চাপা পড়েছে কি না- এমন আশঙ্কায় উদ্ধারকারীরা বড় একটি মাটির স্তূপ সরানোর চেষ্টা করছিল।
পাঞ্জাব প্রদেশ, ঝিলম এবং চেনাবের প্রধান নদীগুলো উপচে পড়ছে; দারিদ্র পীড়িত দেশটিতে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাকে আকস্মিক বন্যার ভয়ে উচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মুষলধারে বৃষ্টিতে নদীগুলোর ফুলে ওঠা এবং এক পর্যায়ে পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ জলমগ্ন হওয়ার এক বছর পরে পাকিস্তানে আবার সেরকম বৃষ্টি ফিরে এসেছে। গতবারের বিপর্যয়ে ১,৭৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বন্যার কারণে ২০২২ সালে নগদ অর্থ সংকটে থাকা পাকিস্তানের তিন হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছিল।