অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি’র আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত


ফাইল ছবি—মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন (১৮ জানুয়ারি, ২০২০)
ফাইল ছবি—মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন (১৮ জানুয়ারি, ২০২০)

এক আইনী কর্মকর্তা জানান, বুধবার মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচনে জালিয়াতি ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে দুই মামলায় সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি হয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী সু চি’র নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে এবং ৭৮ বছর বয়সী এই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগের বেশিরভাগই সামরিক সরকারের আনা।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে গণমাধ্যম ও জনসাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল না। ২০২১ সালের শেষ দিকে তার আইনজীবীদের তথ্য প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সু চি বা অন্য কোনো বিবাদী এই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না।

আদালতে সু চি’র মামলা সম্পর্কে জানেন এমন এক আইনী কর্মকর্তা তথ্য প্রকাশের অনুমোদন না থাকায় নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, সুপ্রিম কোর্ট আগামী ২ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে।

তিনি জানান, সু চি’র আইনজীবীরা তার পক্ষ নিয়ে দুই মামলায় চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। বাদীপক্ষ তাকে মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

এর আগে নিম্ন আদালতে দুই মামলার আপিল খারিজ করা হয়।

সু চি’র আইনজীবীরা অসংখ্য বাধা বিপত্তির শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে আছে তার সঙ্গে দেখা করে আপিল সংক্রান্ত নির্দেশনা না নিতে পারে।

আইন কর্মকর্তা জানান, গত বছর ডিসেম্বরের সর্বশেষ মুখোমুখি সাক্ষাতের পর আইনজীবীরা ৫ বার সু চি-র সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছেন, কিন্তু তারা এতে সাড়া পাননি।

কারাগারের নীতিমালা অনুযায়ী, অভিযুক্ত কয়েদীরা আপিল করার জন্য যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেতে পারেন। তবে কারাগারের সুপার যদি মনে করেন এ ধরনের দেখা সাক্ষাৎ জনস্বার্থবিরোধী, সে ক্ষেত্রে তিনি অনুমতি নাও দিতে পারেন।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী দমন-পীড়নের মাধ্যমে একে প্রতিহত করলে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়। যার ফলে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা চলমান ঘটনাক্রমকে গৃহযুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেন।

XS
SM
MD
LG