বেলারুশে জাতিসংঘের নিয়োগ দেওয়া বিশেষ প্রতিনিধি মঙ্গলবার বলেছেন, বেলারুশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর এবং এটি আরো খারাপ হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় কাউন্সিলকে আনাইস মারিন জানান, বেলারুশের নেতা আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর মিনস্ক সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নাগরিক সমাজ থেকে ভিন্নমত পোষণকারীদের নিশ্চিহ্ন করছেন।
বেলারুশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জানান, “পরিস্থিতি এখনো বিপর্যয়কর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এটি আরও খারাপ হচ্ছে। বেলারুশ সরকার নাগরিক স্বাধীনতাকে অকার্যকর করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সীমাবদ্ধতার দোষে দুষ্ট আইনটির আরো সংস্কার করেছে। যার ফলে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট আইনি প্রক্রিয়া ও বিচারের সংখ্যা বেড়েছে।”
মারিন বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জবাবদিহির অভাবে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি আতঙ্কজনক পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।”
তার বার্ষিক প্রতিবেদনে এই ফরাসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জানান, দেড় হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট অভিযোগে আটক করা হয়েছে। ২০২০ এর পর থেকে দৈনিক ১৭ জন হারে কারণে-অকারণে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তিনি জানান, যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চলছে। তিনি জানান, ১ হাজার ৬০০র বেশি “অপছন্দনীয় সংস্থাকে জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে নিরপেক্ষ ট্রেড ইউনিয়নও রয়েছে।”
তিনি জানান, নিরপেক্ষ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে “উগ্রবাদী সংগঠনের” তকমা দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষা খাতের স্বাধীনতাকে “নিয়মতান্ত্রিকভাবে আক্রমণ’ করা হয়েছে।
তিনি জানান, “আদর্শগত নিয়ন্ত্রণ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ফলে ভিন্নমত পোষণ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে।”
মারিনের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলে তাৎক্ষনিকভাবে বেলারুশকে ফ্লোর দেওয়া হয়, কিন্তু দেশটির কোনো প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।