উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে বড় আকারে যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী সমাবেশের কয়েক দিন পর দেশটির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপের ওপর দিয়ে পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন বোমারু বিমান উড়িয়েছে।
দূরপাল্লার বি-ফিফটি টু বোমারু বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি উপদ্বীপের ওপর দিয়ে যুগ্ম আকাশ মহড়ায় অংশ নেয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় কিছু কৌশলগত যুদ্ধ-উপকরণ মোতায়েন করেছে, যার সর্বসাম্প্রতিক উদাহরণ ছিল বোমারু বিমানের মহড়া।
দু’ সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্রসীমায় গত ৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করে, যার ১৫০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বহনের সক্ষমতা রয়েছে। উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়াকে তাদের দেশে আগ্রাসন চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে দেখে এবং এ ধরনের উদ্যোগের প্রতিবাদে তারা আবারো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করে। এ ঘটনার ১ দিন পরই ইউএসএস মিশিগান এসে পৌঁছায়।
১৫ জুন দু’টি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর উত্তর কোরিয়া প্রকাশ্যে আর কোনো অস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান মোতায়েনে তারা আবারও প্রতিবাদস্বরূপ অস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে।
২০২২ সালের শুরু থেকে উত্তর কোরিয়া ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এসব পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড ও দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্যবস্তু ধরে তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভার বাড়ানো। মিত্ররা এ অঞ্চলে সামরিক উদ্যোগের সম্প্রসারণ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
মে’র শেষের দিকে উত্তর কোরিয়া তাদের প্রথম গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সহ একটি রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালায়। তবে এই অভিযান ব্যর্থ হয় এবং উৎক্ষেপণের অল্প সময় পরেই রকেটটি সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়। উত্তর কোরিয়া এর পর থেকেই বার বার বলে আসছে তারা আবারও উৎক্ষেপণের উদ্যোগ নেবে। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত বৈরি মনোভাবের মোকাবিলায় মহাকাশ ভিত্তিক নজরদারি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি।