মঙ্গলবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি চীনে একটি সরকারি সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন, তবে সফরটি হবে কি না বা কখন হবে তা তিনি প্রকাশ করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সফররত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ইসরাইলি নেতা এ ঘোষণা দেন।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে,চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চীনে তার এই “সম্ভাব্য সফর” হবে। এটি বলেছে, এটি গত মাসে আমন্ত্রণ সম্পর্কে চীনের সাথে শীতল সম্পর্কযুক্ত বাইডেন প্রশাসনকে অবহিত করেছে। এটি ভ্রমনের সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
ইসরাইল এবং চীনের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইসরাইলের কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে বাধা দিয়েছে।
নেতানিয়াহু ইসরাইলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালের শেষের দিকে ইসরাইলের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টর এবং ধর্মীয় সরকার, উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং উগ্র ধর্মীয় মিত্রদের সাথে একটি জোট গঠনের পরে ক্ষমতায় ফিরে আসে।
নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জানুয়ারিতে দেশের বিচার ব্যবস্থার সংশোধনের প্রচেষ্টা শুরু করার পর সরকার সাপ্তাহিক গণবিক্ষোভের পাশাপাশি ওয়াশিংটনের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
সেই বিতর্কিত বিচারিক সংশোধন, সেইসাথে পশ্চিম তীরের বন্দোবস্তে সরকারের আগ্রাসী অগ্রগতির আলোকে নেতানিয়াহুকে এখনো হোয়াইট হাউস সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই ধরনের সফর সাধারণত ইসরাইলি নেতাদের জন্য স্বাভাবিক ঘটনা।