ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও একজন শীর্ষ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা অধিকৃত পশ্চিম উপকূলের সহিংসতা নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা করেন। গ্যালান্টের কার্যালয় বলছে, তিনি ইহুদী অধিবাসীদের দাঙ্গা দমন করার বিষয়ে ইসরাইলের সদিচ্ছার কথা জানিয়ে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাকে আশ্বস্ত করেন।
এই ফোন কল এবং পরবর্তী ঘোষণা, উভয়ই ইসরাইলের ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক সরকারের জন্য বিরল আচরণ। পশ্চিম তীরের কিছু অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যেখানে ফিলিস্তিনিরা বিদেশী রাষ্ট্রের সমর্থনে নিজেদের রাষ্ট্র গঠন করার বিষয়ে আগ্রহী।
হামাসের বন্দুক হামলায় পশ্চিম তীরের একটি মহল্লার বাইরে ৪ ইসরাইলি বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হলে ফিলিস্তিনি গ্রাম ও শহরে ইহুদী বাসিন্দারা বেশ কয়েকদিন ধরে সশস্ত্র হামলা চালায়। ইতোমধ্যে ১২ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালানোর অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ।
গ্যালান্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তা হুসেন আল-শেখকে বলেন, “ইসরাইল সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ফিলিস্তিনি বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর উগ্রবাদ-প্রভাবিত সহিংসতাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।”
“ইসরাইল দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে”, গ্যালান্টের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আল-শেখের কার্যালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলি বাহিনী গত ১৫ মাস ধরে সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের তীব্রতা বাড়াচ্ছে। গ্যালান্ট জানান, ইসরাইলি বাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী, “যেকোনো স্থানে” কার্যক্রম চালাবে। পশ্চিম তীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা তার ও আল-শেখ, উভয়ের লক্ষ্য— জানান গ্যালান্ট।
মূলত প্রতীকী ভূমিকায় থাকা ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগও ফিলিস্তিনিদের মূল কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে মঙ্গলবার মুসলিম উৎসব ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কথা বলেন। হারজগের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে।
হারজগ “নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর উগ্রবাদীদের সাম্প্রতিক হামলার বিরুদ্ধে দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে নিন্দা জ্ঞাপন করেন।”