উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজনকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এবং সক্রিয়বাদীরা একথা জানান। এই অঞ্চল ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে বলে চিন্তিত অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সোমবার ক্ষোভ দেখা দেয়।
রবিবার রাতে এক বিবৃতিতে পুলিশের মুখপাত্র আহমাদ রুফা’ই বলেন, রবিবার সোকোটো রাজ্যের গোয়ান্ডু জেলায় একটি বাজারে অন্য ব্যবসায়ীর সাথে তর্কের সময় উসমান বুদা নামের একজন কসাইকে “পবিত্র নবী মুহাম্মদকে অবমাননা করার অভিযোগের” পরে হত্যা করা হয়।
অধিকার কর্মীরা বলছে, হত্যাকাণ্ডটি নাইজেরিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলা ঘটনাগুলোর মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক। ওই অঞ্চলে ইসলামি আইনে ধর্ম অবমাননার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড।
অ্যামনেস্টি ইন্টারনেশনালের নাইজেরিয়ার কার্যালয় বলেছে, এই ধরনের মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থতা আরও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নাইজেরিয়ার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ইসা সানুসি বলেন, “সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে না। এটি পরিবর্তন করতে হবে।”
ধর্ম অবমাননার অভিযুক্তদের অনেকেই বিচারের জন্য আদালত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। গত বছর সোকোটোতে একজন ছাত্রকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। উত্তরাঞ্চলের রাজধানী আবুজাতেও একই কারণে একজনকে হত্যা করে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল।
সোকোটোর পুলিশ বলেছে, তারা সর্বসাম্প্রতিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার বিরল।