রবিবার তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা একটি বার্তা প্রকাশ করে দাবি করেন, তার সরকার আফগানিস্তানে নারীদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। আফগানিস্তানে নারীদেরকে জনজীবন এবং কাজ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নারীশিক্ষা মারাত্মকভাবে হ্রাস করা হয়েছে।
আফগানিস্তান এবং অন্যান্য ইসলামি দেশে এই সপ্তাহের শেষের দিকে ঈদুল আযহা ছুটি পালিত হবে। এর আগে হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।
আখুন্দজাদা একজন ইসলামিক স্কলার। তিনি খুব কমই জনসমক্ষে উপস্থিত হন বা আফগানিস্তানের দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশে তালিবানের কেন্দ্রস্থলের বাইরে যান। তিনি নিজেকে অন্যান্য ধর্মীয় জ্ঞানী ব্যক্তি এবং মিত্রদের দ্বারা ঘিরে রেখেছেন যারা কিনা শিক্ষা এবং কাজের বিরোধিতা করে।
ইদানীং আখুন্দজাদা দেশে ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করার এবং আফগান নারীদের জনজীবন ও কাজ থেকে বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থা এবং জাতিসংঘের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বলে মনে হচ্ছে।
১৯৯০-এর দশকে ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের কার্যকালের তুলনায় আরও মধ্যপন্থী শাসনের প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তালিবান ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান দখল করার পর থেকে কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করেছে।
তারা পার্ক এবং ব্যায়ামাগারের মতো উন্মুক্ত স্থানে নারীদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হামলা করেছে। এই পদক্ষেপগুলো এমন একটি সময়ে ভয়াবহ আন্তর্জাতিক গোলযোগের সূত্রপাত করেছে যখন আফগানিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। এবং মানবিক সংকটের আরও অবনতি ঘটিয়েছে।