জার্মান-ইরানী এক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে ইরানে। দণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তির মেয়ে জার্মানির কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন যাতে ইরানের বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করা হয়।
জামশিদ শারমাদের পরিবার জানিয়েছে, তিন বছর আগে জামশিদ যখন দুবাইতে ছিলেন তখন ইরান তাঁকে অপহরণ করেছিল। ইরানী কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ২০০৮ সালে একটি মসজিদে হামলার ছক কষেছিলেন তিনি। সেই হামলায় ১৪ জন মারা গিয়েছিল এবং আহত হয়েছিল ২০০ জনের বেশি। চলতি বছরের শুরুর দিকে তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
ইরানে মৃত্যুদণ্ডের হার যখন বাড়ছে তখন এই রায়ের নিন্দা করেছেন জার্মান ও ইউরোপীয় কূটনীতিকরা।
জার্মানি আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থার নীতি মেনে চলে। এই নীতি মোতাবেক, বিশ্বের কোথাও ঘটা গুরুতর কোনও গুরুতর অপরাধের তদন্ত করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
শারমাদের মেয়ে গ্যাজেল শারমাদ ইরানের বিচারব্যবস্থা ও গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চপদস্থ আটজন সদস্যের বিরুদ্ধে জার্মান ফেডারেল বিচারকের দফতরে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এটি ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধ।
বার্লিনে থাকা সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সংক্রান্ত ইউরোপীয় কেন্দ্র শারমাদের মামলাকে সমর্থন ও সাহায্য করছে। এই কেন্দ্র বুধবার মামলা দায়েরের কথা ঘোষণা করে বলে, বিশিষ্ট ইরানীয় বিচারপতি আবুলঘাসিম সালাবতি ও গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক মন্ত্রী মাহমুদ আলাভিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইসিসিএইচআরের মহাসচিব উলফগ্যাং কালেক বলেন,”হাজার হাজার মানুষের উপর নিয়মমাফিক অত্যাচার, যৌনহিংসা, মৃত্যু ও ‘নিরুদ্দেশ’ করে ফেলার জন্য তেহরান সরকার দায়ী—অতি সম্প্রতি নারীবাদী বিপ্লবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
চলতি বছরের শুরুর দিকে, শারমাদ মামলায় জার্মানি ও ইরান একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে।