যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সফর এবং হোয়াইট হাউজে নৈশভোজের এক দিন আগে, বুধবার তাঁকে ভার্জিনিয়ায় এক পার্শ্ব সফরে নিয়ে যান ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
ভারতের নেতা নিউইয়র্ক হয়ে ওয়াশিংটন আসেন। এর আগে বুধবার সকালে তিনি জাতিসংঘের প্রাঙ্গনে বহুজাতিক জনতার সাথে একটি যোগ সেশনে অংশ নিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মোদিকে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বাইডেন, তাঁর পুনর্নির্বাচনের প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গত দুই দিন ক্যালিফোর্নিয়া সফর করেন।
মানবাধিকারের রেকর্ড এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভারতের সাথে গভীর মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য বাইডেন প্রশাসন তৃতীয়বারের মতো মোদীকে আমন্ত্রণ জানান। মোদির প্রতি সমস্ত আড়ম্বর এবং মনোযোগ দেওয়ায়, বাইডেন এমন একটি দেশের নেতার সাথে তার সম্পর্ককে দৃঢ় করার আশা করেন, যা যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ভারত এশিয়ার একটি অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।
বৃহস্পতিবার উষ্ণ রাষ্ট্রীয় আতিথেয়তার আগে, ফার্স্ট লেডি বুধবার ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ায় ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনে মোদির একটি পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেন। মোদি সেখানে কর্মশক্তি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তুলে ধরার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি প্রায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ ফার্স্ট লেডি সাধারণত ওয়াশিংটন সফররত রাষ্ট্রীয় অতিথিদের পত্নীদের বেড়াতে নিয়ে যান, কিন্তু চিরকুমার হওয়ায়, একাই ভ্রমণ করছেন মোদি।
বিজ্ঞান ফাউন্ডেশনে, ফার্স্ট লেডি এবং মোদি যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন। সেখানে তারা উপস্থাপকের মাধ্যমে কথোপকথনে অংশ নেন।
এর আগে বুধবার, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে, ভারতের নেতা যোগকে "জীবনের একটি উপায়" হিসাবে অভিহিত করেন। এখানে যোগ ব্যায়াম অনুশীলনের মধ্য দিয়েই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তার জনসংযোগ শুরু করেন।
এ সময় মোদি বলেন, "এটি একটি খুব পুরানো ঐতিহ্য, এবং সমস্ত প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যের মতো, এটিও জীবন্ত এবং গতিশীল, যোগ সত্যিকার অর্থেই একটি সর্বজনীন শাস্ত্র।"
৭২ বছর বয়সী এই নেতা বলেন, "যোগব্যায়াম শারীরিক সুস্থতা, মানসিক প্রশান্তি এবং তৃপ্তির একটি মাধ্যম, এটি কেবল একটি মাদুরে ব্যায়াম করার বিষয় নয়। যোগ হল জীবনেরই একটি অনুষঙ্গ।"
অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে মহিমান্বিত করেছিল, যেটিকে মোদি প্রতি বছর উদযাপন করার জন্য ২০১৪ সালে জাতিসংঘকে রাজি করিয়েছিলেন।