শরণার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল সময়ে, যুদ্ধ, নিপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য ভয়াবহতা কারণে তাদের বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক উৎখাত করা মানুষের সাহস এবং সমাজে অবদানকে সম্মান জানাতে জাতিসংঘ বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন করছে।
এই বছরের বিশ্ব শরণার্থী দিবস ৩ কোটি ৫৪ লাখ শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের দুর্দশার উপর আলোকপাত করে, তাদের চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আইনি অধিকারের উপর জোর দেয়া হয়েছে।
দিবসটি পালনে, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা উদ্বাস্তু এবং তাদের স্বাগতিক সম্প্রদায়ের অবস্থার উন্নতির জন্য দৃঢ় পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা এমন সমাধানের জন্যও পরামর্শ দিচ্ছেন, যা শরণার্থীদের নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি কার্যকর ভবিষ্যত গড়ে তোলার সুযোগ দেবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি কেনিয়ার কালোবেইয়ে শরণার্থী দিবসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, "আমি এখানে বাকি বিশ্বকে বলতে এসেছি যে, উদ্বাস্তুরা যেখানেই থাকুক না কেন এবং তাদের প্রেক্ষাপট যাই হোক না কেন, এই ধরনের আশা, সুযোগ এবং সমাধান দেওয়ার জন্য আমরা আরও কিছু করতে পারি এবং তা করতে হবে।"
বিশ্বের বৃহত্তম কাকুমা শরণার্থী শিবিরে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতায়, গ্র্যান্ডি কেনিয়ার সরকারের "উদ্ভাবনী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিগুলি চালু করার" পরিকল্পনার প্রশংসা করেন৷
তিনি বলেন, "এটি ৫ লাখ শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে অনেককে কেনিয়ানদের সাথে কাজ করতে এবং পাশাপাশি বসবাস করতে এবং আত্মনির্ভরশীলতা, অর্থনীতির সম্প্রসারণ বৃদ্ধি এবং মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরতা কমাতে উৎসাহিত করবে।"
এই বছর শরণার্থী দিবসের থিম "হোপ অ্যাওয়ে ফ্রম হোম" , অর্থাত্ বাড়ি থেকে দূরেও আশা , উদ্বাস্তুদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষমতা এবং সমাধানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যাদের মধ্যে অনেকেই কয়েক দশক ধরে অচলাবস্থায় বসবাস করছেন। কারণ তাদের আয়োজক দেশগুলিতে বা পুনর্বাসনের দেশে তাদের জীবন পুনর্গঠনের কোনও সুযোগ নেই৷
বিশ্ব শরণার্থী দিবসের এক বার্তায়, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রতিকূলতার মুখে শরণার্থীদের অধ্যবসায়কে "অনুপ্রেরণাদায়ক" বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, "শরণার্থীরা মানবিক চেতনার সবচেয়ে ভালো প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের সমর্থন এবং সংহতির প্রয়োজন এবং তাদের প্রাপ্য- বন্ধ সীমানা কিংবা পুশব্যাক নয়।" তিনি আরও বলেন, "শান্তির জন্য আমাদের আরও শক্তিশালী রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি দরকার, যাতে শরণার্থীরা নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে।"