ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আজ শনিবার ইরানে এসে পৌঁছিয়েছেন। তিনি এমন সময় এলেন, যখন মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই শত্রুভাবাপন্ন দেশ তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য কাজ করছে।
চীনের মধ্যস্থতায় মার্চে ইরান ও সৌদি আরব সকল বিবাদ ভুলে আবারও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই দুই দেশের বহু বছরের বৈরি সম্পর্ক আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে বিপদগ্রস্ত করেছে, যার প্রভাব পড়েছে ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবানন সহ অন্যান্য দেশে।
৭ জুন ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরবে তাদের দূতাবাস আবারও চালু করেছে।
রিয়াদে একজন প্রখ্যাত সুন্নি আলেমকে ফাঁসি দেওয়া হলে ২০১৬ সালে বিক্ষোভকারীরা তেহরানে অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাসে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
এই সফরে বিন ফারহান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করবেন।
সম্প্রতি ইরান উপসাগরীয় অঞ্চলের একাধিক আরব দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর ইসরাইল মোটামুটি একা হয়ে পড়েছে—দেশটি ইরানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
২০২০ সালে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম আরব দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয় এবং এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। তা সত্ত্বেও আরব আমিরাত গত বছর ইরানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক আবারও চালু করেছে।
পরবর্তীতে বাহরাইন ও মরক্কো সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথ ধরে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে।