বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী বা ডাব্লিউএফপি মঙ্গলবার বলেছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তাদের কর্মসূচির তহবিলের জন্য কমপক্ষে ১৮ কোটি ডলার অনুদান না পেলে, আগামী মাসে ২৫ লাখ সিরিয়ানের খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হতে হবে।
ডাব্লিউএফপি সিরিয়ার পরিচালক কেন ক্রসলে এক বিবৃতিতে বলেছেন, "রেশনের আকার আরও হ্রাস করা অসম্ভব; এক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র সমাধান হল প্রাপকদের সংখ্যা হ্রাস করা। আমরা যে সব লোকেদের সেবা করে আসছি, তারা সংঘাত পরবর্তী বিপর্যয় সহ্য করে কোনমতে টিকে আছে, কেউবা তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে, অনেকেই পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছে এবং কারো কারো জীবিকা বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের সহায়তা ছাড়া এইসব মানুষের কষ্ট আরও তীব্র হবে।”
ডাব্লিউএফপি বর্তমানে সিরিয়ায় প্রায় ৫৫ লাখ মানুষকে সহায়তা করছে। সংস্থাটি বলেছে, কঠোর কাটছাঁট করা না হলে, আগামী অক্টোবরের মধ্যে তাদের খাদ্য ভাণ্ডার সম্পূর্ণরূপে ফুরিয়ে যাবে।
গত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সঙ্কট উপরন্তু ফেব্রুয়ারিতে একের পর এক মারাত্মক ভূমিকম্পের ফলে, অনেক সিরিয়ান কোন রকমে জীবন ধারণ করে আছেন। ডব্লিউএফপি বলছে, এমনকি যারা নিয়মিত খাদ্য সহায়তা পান, তারাও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সামগ্রিকভাবে, জাতিসংঘ বলেছে, ১ কোটি ৫৩ লাখ বা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের কোনো না কোনো ধরণের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন৷ এছাড়া, দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, অপুষ্টির শিকার এবং বিশেষ করে শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী পুষ্টিহীনতা ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে।
বুধবার এবং বৃহস্পতিবার, ব্রাসেলসে "সিরিয়া ও ওই অঞ্চলের ভবিষ্যত বিনির্মাণ" বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের এক সম্মেলনের আয়োজন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সম্মেলনের লক্ষ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোসহ আয়োজক দেশটিতে সিরিয়ানদের জন্য আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক ও আর্থিক সহায়তা পুনরুজ্জীবিত করা।