যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনবৃহস্পতিবার বলেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার ক্ষেত্রে “লড়াই এখনও শেষ হয়নি।”
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ৮০ সদস্যের গ্লোবাল কোয়ালিশনের ডিফিট আইএসসিস-এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শুরুতে ব্লিংকেন বলেন,ইরাক ও সিরিয়ায় আঞ্চলিক পর্যায়ে গোষ্ঠীটির পরাজয় ঘটেছে, তাদের নেতাদের হটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বড় ধরনের হামলা প্রতিরোধ করা গেছে।
তবে ইসলামিক স্টেট গ্রুপকে “স্থায়ীভাবে শেষ” করার জন্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে যে মনোনিবেশ করতে হবে ব্লিংকেন তা তুলে ধরেন।
তিনি ইরাক ও সিরিয়ার জন্য ৬০কোটি ডলার সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা ঘোষণা করেছেন। আইএস গোষ্ঠী তাদের যোদ্ধা নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব জিনিষকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে তা মোকাবেলায় সহায়তা করাসহ সামাজিক পরিষেবারজন্য অর্থায়ন এবং অপরাধের জবাবদিহিতানিশ্চিত করাতে ঐ অর্থ ব্যবহার করা হবে।
ব্লিংকেন ঐ অঞ্চল থেকে প্রত্যাবাসন করার বিষয়েও আলোচনা করেন। ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সাথে লড়াই করার জন্য যেসব দেশের নাগরিকেরা ইরাক ও সিরিয়ায় গিয়েছিল এবং এখনও কারাবন্দী তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তা যদি না করা হয় তা হলে ঐ সব যোদ্ধা একদিন মুক্ত হয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেসামরিক নাগরিক, বিশেষকরে শিশুদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে যাতে তারা আশা করতে ও সুযোগ পেতে পারে।
ঐ বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ছোট দেশসহ অনেক দেশ এগিয়ে এসে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করেছে এবং তা অবশ্যই প্রশংসনীয় তবে বেশ কয়েকটি ধনী দেশ তা করেনি। তিনি এই পদক্ষেপের অভাবকে "অগ্রহণযোগ্য" বলেঅভিহিত করেন এবং বলেছেন যে জোটের অংশহওয়ার অর্থ "আপনাকে অবশ্যই আপনার দায়িত্বপালন করতে হবে।“
ব্লিংকেন আফ্রিকার সাহেল অঞ্চসহ আফগানিস্তানে ইসলামিক ষ্টেটের সহযোগী সংগঠনগুলির হুমকি নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলার জন্য একই সঙ্গে এগিয়ে চলা,সতর্ক থাকা এবং আফগানিস্তান যাতে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।