অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউকে ট্যাবলয়েডের বিরুদ্ধে ফোন হ্যাকিং মামলায় প্রমাণ প্রদান শেষ করেছেন প্রিন্স হ্যারি


প্রিন্স হ্যারি লন্ডনের হাইকোর্টে পৌঁছেছেন। ৭ জুন, ২০২৩।
প্রিন্স হ্যারি লন্ডনের হাইকোর্টে পৌঁছেছেন। ৭ জুন, ২০২৩।

প্রিন্স হ্যারি একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে তার ফোন হ্যাকিং মামলায় প্রায় আট ঘণ্টা জেরার পর বুধবার লন্ডনের হাইকোর্টে সাক্ষ্য দেয়া শেষ করেছেন এবং তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন , “ যথেষ্ট হয়েছে”।

১৩০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে হ্যারি হচ্ছেন প্রথম সিনিয়র ব্রিটিশ রাজপরিবারের লোক যিনি সাক্ষীর কাঠগরায় উপস্থিত হলেন । ট্যাবলয়েড সংবাদপত্রগুলো তাকে টার্গেট করার জন্য বেআইনি উপায় ব্যবহার করেছিল, যেহেতু তিনি শিশু ছিলেন- তার এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে দ্বিতীয় দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

রাজ সিংহাসনে বসার সারিতে হ্যারি হচ্ছেন পঞ্চম ব্যক্তি। হ্যারি সাক্ষ্য প্রমাণ দেয়ার শেষে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন,

যখন তাকে আইনজীবী ডেভিড শেরবোর্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, “বিশ্বের গণমাধ্যম দেখছে” এমন অবস্থায় আদালতে তার অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে কেমন লেগেছে

হ্যারি গভীর নিঃশ্বাস ফেলে উত্তর দিলোঃ “এটাই যথেষ্ট”।

তার ৫০ পৃষ্ঠার লিখিত সাক্ষীর বিবৃতিতে এবং জিজ্ঞাসাবাদে হ্যারি বলেছেন, গণমাধ্যমের হাত রক্তমাখা, তার কৈশোর নষ্ট হয়েছে, বন্ধু এবং বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে এবং যখন তিনি স্কুলে পড়তেন সেই ১৯৯৬ সাল থেকে বিভ্রান্তি এবং অবিশ্বাসের বীজ বপন করে চলেছে।

গ্রিন রাজকুমারের কিছু অভিযোগকে “সম্পূর্ণ জল্পনা” বলে অভিহিত করেছেন।

হ্যারি বলেছেন, তাদের বিচ্ছেদ সম্পর্কে একান্ত ব্যক্তিগত বিবরণ এবং একটি স্ট্রিপ ক্লাবে যাওয়ার বিষয়ে তার তর্ক-বিতর্ক ফোন-হ্যাকিং-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়েছিল। তবে গ্রিন বলেছেন যে, এটি আগে অন্য কোথাও ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা হয়েছিল।

প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করার সময় গ্রিন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, এটি কি প্রিন্স হ্যারির সাথেই হয়েছে কিনা যে, তার ফোনকল ১৫ বছর সময়কালে নিয়মিতভাবে হ্যাক করা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG