অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লোডশেডিং-এর কবলে বাংলাদেশ, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ


বাংলাদেশে একদিকে চলছে তাপদাহ, অন্যদিকে ব্যাপক লোডশেডিং। দেশে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। তাপমাত্রা উঠছে৩৮-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমন পরিস্থিতিতে, বিদ্যুৎ ঘাটতি মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে কয়েকগুণ।

ইতোমধ্যেই, দিনের বেলার লোডশেডিং ২৬০০ মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে এবং সন্ধ্যায় তা সর্বোচ্চ ৩৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহের অবস্থা আরো খারাপ বলে অভিযোগ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে দিনে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়; বাকি সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যানুযায়ী জানা যায়, মধ্যরাতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা সর্বোচ্চ, যখন মানুষ গভীর ঘুমে থাকেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশে ২৬১০ মেগাওয়াট লোশেডিং হয়েছে। এ সময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট এবং উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট।

পূর্বাভাস ছিলো সন্ধ্যায় চাহিদা হতে পারে ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। বিপরীতে উৎপাদন থাকবে ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। আর ৯০০ মেগাওয়াট লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন’। সন্ধ্যার পিক আওয়ারে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ২৭০০ মেগাওয়াট থেকে ৩৫০০ মেগাওয়াটে পৌঁছায়।

বাংলাদেশর বিদ্যুত সঞ্চালনের দায়িত্বে রয়েছে পিজিসিবি। এই সংস্থার তথ্যে দেখা যায় যে সোমবার (৫ জুন) বিকাল ৪টায় লোডশেডিং ছিলো ২৮১৫ মেগাওয়াট; সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ২৭৩৫ মেগাওয়াট এবং মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টায় ৩২৬৬ মেগাওয়াট। আর, রাত ২টায় (মধ্যরাত) ৩১৪৩ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিলো।

এর অর্থ হলো, মধ্যরাতে সর্বোচ্চ লোডশেডিং বাংলাদেশে একটি নতুন ঘটনা। মধ্যরাতে চাহিদা কমলেও, বিদ্যুতের উৎপাদন ১১ হাজার মেগাওয়াটে নেমে আসে। আগের বছরগুলোতে সাধারণত মধ্যরাতে কোনো লোডশেডিং দেখা যায়নি। এ বছর নিয়মিত মধ্যরাতে লোডশেডিং হচ্ছে। বিপিডিবির কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

XS
SM
MD
LG