এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, জাপান, রাশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ দেশগুলোর নৌবাহিনীর পাশাপাশি তার জলসীমায় একটি বহুপাক্ষিক নৌ মহড়া শুরু করেছে।
এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী বলেছে, রুটিন কমোডো মহড়া একটি “যুদ্ধবিহীন” মহড়া। এর লক্ষ্য ৩৬টি দেশের "নৌবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা"।
চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে সামরিক কূটনীতি বৃদ্ধি করেছে, তাইওয়ানের আশেপাশে মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে ও দক্ষিণ চীনে সাগর এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ব্যস্ত জলপথে আরও ঘন ঘন যুদ্ধ মহড়া পরিচালনা করছে।
মহড়াগুলো তাইওয়ান প্রণালীতে সপ্তাহান্তের একটি ঘটনার পরে হচ্ছে। ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বলেছিল, চীনের একটি যুদ্ধজাহাজ একটি “অনিরাপদ মিথষ্ক্রিয়ায়” যুক্তরাষ্ট্রের ডেস্ট্রয়ারের সামনে চলে আসে।
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, সোমবার কমোডো মহড়া শুরু হওয়ার সাথে সাথে চীন এবং রাশিয়ার পনেরোটি জাহাজ সুলাওয়েসি দ্বীপে নোঙর করেছে।
সোমবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনা নৌবাহিনী তাদের ডেস্ট্রয়ার ঝানজিয়াং এবং ফ্রিগেট জুচাং দুইটিকেই গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত মহড়ায় পাঠিয়েছে।
এই বছরের কমোডো মহড়া ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়া প্রথম মহড়ার আয়োজন করার পর থেকে এই ধরনের চতুর্থ যৌথ নৌ মহড়া।