উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োভেরি মুসেভেনি বলেছেন, গত সপ্তাহে সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি ঘাঁটি ঘিরে সন্ত্রাসীদের হামলায় উগান্ডার প্রায় ৫৪ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাতে এক টুইটার পোস্টে মুসেভেনি বলেন, “আমরা একজন কমান্ডারসহ ৫৪ জন নিহত সৈন্যের প্রাণহীন লাশ দেখতে পেয়েছি।“
রবিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্ট পার্টির সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট কথা বলেন।
গত আগস্টে এটিএমআইএস নামে পরিচিত এইউ বাহিনী সমর্থিত সরকারপন্থী বাহিনী আল-শাবাবের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার পর থেকে এই সংখ্যা অন্যতম সর্বাধিক। এটি একটি বড় সংখ্যায় সেনা মৃত্যুর বিরল স্বীকারোক্তিও বটে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সোমালিয়ার ভঙ্গুর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বিদ্রোহ চালিয়ে আসা আল-শাবাব ২৬ মে হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, তারা ঘাঁটিটি দখল করেছে এবং ১৩৭ জন সৈন্যকে হত্যা করেছে।
এটিএমআইএস এখন পর্যন্ত কতজন নিহত হয়েছে তা প্রকাশ করেনি। তবে জানিয়েছে, তারা ভোরের অভিযানের পরে ঘাটি মজবুত করতে হেলিকপ্টার গানশিপ প্রেরণ করেছে।
হামলার একদিন পর ঘাঁটির কাছে বিমান হামলা চালানো হয় বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউএস আফ্রিকা কমান্ড বলেছে, তারা আল-শাবাবের যোদ্ধাদের অবৈধভাবে নেওয়া অস্ত্র ও সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে।
কয়েক দশকের সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য লড়াই করার সময় হর্ণ অফ আফ্রিকার দেশটিতে স্থানীয় নিরাপত্তা সমস্যাগুলো এই আক্রমণটি তুলে ধরেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ২০১৭ সালের পর ২০২২ সাল সোমালিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর।