জনতুষ্টিবাদী নেতা ও কর্তৃত্ববাদী প্রবণতাসম্পন্ন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে শনিবার। এবারের নির্বাচনে জয় লাভের পর, এই শপথের মাধ্যমে তার তৃতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তুরস্ককে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এরদোয়ান। দেশের চলতি আর্থিক সংকট ও ফেব্রুয়ারি মাসে হওয়া ভূমিকম্পে তার সরকারের সমালোচনা সত্ত্বেও, গত সপ্তাহান্তের ফিরতি নির্বাচনে তিনি আবার বিজয়ী হন। উল্লেখ্য যে গত ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
ভক্তদের কাছে এরদোয়ান ‘রেইস’ বা ‘প্রধান’ হিসেবে পরিচিত। ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান ইতোমধ্যেই তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে দীর্ঘমেয়াদী নেতা হয়ে উঠেছেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য তিনি পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং এই মেয়াদ শেষ হবে ২০২৮ সালে। এর মধ্য দিয়ে তার শাসনকাল তিন দশকে গড়াবে। আর, তিনি সম্ভবত একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আইনসভার সহযোগিতায় আরো দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকতে যাচ্ছেন।
অনেক বিশেষজ্ঞ একমত যে, এরদোয়ানের অপ্রচলিত রাজস্ব নীতিই তুরস্কের মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের কারণ। তার নীতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; অর্থনীতিবিদদের সতর্কতাবাণী সত্ত্বেও, অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেও হতাশাজনক সুদের হার আরোপ করেন তিনি। তবে, মনে হচ্ছে, অধিকাংশ ভোটারই এ বিষয়টি তার বিরুদ্ধে আমলে নেননি। উল্লেখ্য, এরদোয়ান এই নির্বাচনে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট অতীতে অর্থনীতির গতি ঘুরিয়ে দেয়ার সক্ষমতা দেখিয়েছেন। সেই সঙ্গে, নিজের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য তিনি সরকারি সম্পদ ব্যয় করতে কখনো কুণ্ঠা বোধ করেননি।