১৯৮৯ সালে তিয়ানানমেন চত্বরের আশেপাশে চীনের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ দমনের স্মরণে নিবেদিত ম্যানহাটনেরএই নতুন জাদুঘরে "মুক্ত চীন"এর আশাবেঁচে থাকবে। প্রদর্শনীর আয়োজকরা তিয়ানানমেন স্কয়ারের দমন অভিযানের ৩৪তম বার্ষিকীর আগে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের চাপে ২০২১সালে হংকংয়ের অনুরূপ একটি জাদুঘর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে নিউইয়র্কের ৪ জুন মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে বিশ্বের একমাত্র স্থায়ী প্রদর্শনী স্থান পাবে ।
১৯৮৯ সালের ৪জুন ভোর হবার আগেই বেইজিং স্কোয়ারে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ছাত্র ও শ্রমিক বিক্ষোভের অবসান ঘটাতে ট্যাংক ঢুকে পড়ে। চীনা নেতারা সামরিক হামলার আদেশ দেওয়ার কয়েক দশক পরে, মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন যে বিক্ষোভকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল- অন্যান্য বিষয়ের সাথে মুক্ত গণমাধ্যম এবং বাকস্বাধীনতা – যা আগের চেয়ে বর্তমানে সুদূরপরাহত।
নিউ ইয়র্কের ছোট্ট এই জাদুঘরটি সিক্সথ অ্যাভিনিউয়ের একটি অফিসভবনের চতুর্থ তলায় একটি সংকীর্ণ অফিস ঘরে অবস্থিত। তিয়ানানমেন চত্বরে প্রতিবাদ চলাকালীন নানা জিনিষ যেমন ব্যানার, চিঠি এবং রক্তমাখা শার্টসহ সেইসময়ের ছবি এবং বিস্তারিত সংবাদ রিপোর্টগুলি প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।
জাদুঘরটি সৃষ্টির পরিকল্পনায় সহায়তা করেন ৫৫ বছর বয়সী তিয়ানানমেন আন্দোলনের নির্বাসিত সাবেক ছাত্র নেতা ঝু ফেংসুও। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি এমন একটি জায়গা যেখানে " মুক্ত এক চীনের আশা"বাস করে।কারণ আশা উজ্জীবিত। যে ধরনের পরাজয়ই হোক না কেন এবংআমাদের যত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল সেই স্বপ্ন এখানেই জীবন্ত।
আয়োজকরা শুক্রবার একটি উদ্বোধনীঅনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের কাছে মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা সাড়া দেয়নি।
১৯৮৯ সালের সহিংসতায় কত জন প্রাণ হারিয়েছিল তার সংখ্যা চীন কখনোই জানায়নি তবে মানবাধিকারগোষ্ঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঐ সংখ্যা কয়েক হাজার হতেপারে।
চীনের মূল ভূখণ্ডে ৪ জুন পালন নিষিদ্ধ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার সেন্সরশিপ বাড়িয়েছে।