অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের বিরোধিতা সত্ত্বেও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান


যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ সারাহ বিয়ানচি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন; (ফাইল ফটো) ২৩ মে ২০২২।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ সারাহ বিয়ানচি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন; (ফাইল ফটো) ২৩ মে ২০২২।

চীনের বিরোধিতা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চীন এই গণতান্ত্রিক স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে নিজের অঞ্চলের অংশ হিসেবে দাবি করে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং উচ্চ প্রযুক্তি খাতের অন্যতম কেন্দ্র তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখে এমন বেসরকারি সংস্থার কর্মচারীরা এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। দুই পক্ষের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই; তবে, তারা অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখে এবং তাদের মধ্যে বার্ষিক কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী ও গভীর করার লক্ষ্যে এই চুক্তি করা হয়েছে।” ডেপুটি ইউএসটিআর সারাহ বিয়ানচি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

চীন সরকার, ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে তাইওয়ানের অবস্থার বিষয়ে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে দ্বীপটির নির্বাচিত সরকারের সাথে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর, তাইওয়ান এবং চীন আলাদা হয়। দ্বীপটি কখনোই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ ছিলো না, তবে মূল ভূখণ্ডের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি বলেছে, প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও, দ্বীপটিকে তারা মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ।

চীনের নেতা শি জিনপিং-এর সরকার তাইওয়ানের কাছে যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান উড়িয়ে তাইওয়ানকে ভয়ভীতি দেখানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য সেখানে সফর করেছেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ানের সাথে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযাগ বন্ধ করা এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল সংকেত পাঠানো থেকে বিরত থাকা।

XS
SM
MD
LG