ইরানের এক নারী সাংবাদিকের আইনজীবী ইলনা নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, গত বছর পুলিশী হেফাজতে মারা যাওয়া মাহসা আমিনির শেষকৃত্যের খবর প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার রুদ্ধদ্বার বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন ঐ সাংবাদিক।
ইসলামিক ড্রেস কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর কয়েক মাস ধরে ইরান জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। যা কয়েক দশকের মধ্যে ইরানের ধর্মীয় নেতাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এলাহেহ মোহাম্মাদি তার কুর্দি শহর সাকেজে আমিনির শেষকৃত্য নিয়ে রিপোর্ট করেন। সেখান থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। ইসলামি প্রজাতন্ত্র তার বিদেশী শত্রুদের বিরুদ্ধে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ উস্কে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
আইনজীবী শাহাবেদ্দিন মিরলোহি ইলনা-কে বলেন, “এলাহ মোহাম্মদীর বিচার ভালোই হয়েছে। তার পরবর্তী অধিবেশনের তারিখ আদালত ঘোষণা করবে।“
তেহরানে বিচারাধীন সংস্কারপন্থী হামিহান পত্রিকার প্রতিবেদক মোহাম্মদি এবং শারক পত্রিকার আরেক সাংবাদিক নিলুফার হামেদির বিরুদ্ধে আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচারের জন্য "শত্রু শক্তির সাথে যোগসাজশ" করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই অভিযোগে ইসলামী আইনের অধীনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে।
গত অক্টোবরে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রক এক যৌথ বিবৃতিতে মোহাম্মদী ও হামেদিকে সিআইএ'র বিদেশি এজেন্ট হিসেবে অভিযুক্ত করে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে আটক দুই সাংবাদিকের আলাদা ভাবে বিচার করা হবে। বিচার বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে হামিদির বিচার শুরু হবে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র এই দুই সাংবাদিকের জনসমক্ষে বিচারের জন্য মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর আহ্বান বারবার উপেক্ষা করেছে।