পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ শুক্রবার বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ৩৩ জন সমর্থককে সামরিক আদালতে বিচারের জন্য, সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনায় হামলার অভিযোগে তাদের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হলো।
গত ৯ মে মাসে ইমরান খান গ্রেপ্তার হলে, পাকিস্তান জুড়ে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়।তখন আটক করা কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর সঙ্গে আটক হন অভিযুক্ত এই ৩৩ জন। সানাউল্লাহর মতে, যাদের সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং ভাংচুরের অভিযোগ রয়েছে।
ইমরান খান গ্রেপ্তার হন দুর্নীতির অভিযোগে। তবে তিনি অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। আর, দেশের ক্ষমতাধর জেনারেলদের সাথে তার দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়।
পাকিস্তান গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হওয়ায়, দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা খারাপের দিকে যায়। মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রুগ্ন। আর, শঙ্কা রয়েছে যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল তাদের, এমনিতে বিলম্বিত অর্থ, ছাড় না করলে, দেশটি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়ে যেতে পারে।
ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনের সানাউল্লাহ বলেন, “যারা অনুপ্রবেশ করেছে এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা স্থাপনায় প্রবেশ করেছে, সেই অভিযুক্তদেরকেই সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।”
অধিকার গোষ্ঠীগুলো বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক বিচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, বাইরের মানুষ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ, এমন আদালতে তারা ন্যায় বিচার পাবে বলে নিশ্চিত হতে পারছে না।
সানাউল্লাহ বলেন, সামরিক আদালতের রায়ের পর অভিযুক্তদের হাইকোর্ট এবং তারপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার অধিকার থাকবে।