বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শহর থেকে কয়েক ঘণ্টা দূরে অবস্থিত পোপোক্যাটেপেটল আগ্নেয়গিরির আশেপাশের শহরগুলো অগ্নুৎপাতের ভস্ম বা ছাইয়ে ঢেকে গিয়েছে। এর ফলে ল্যাটিন আমেরিকার ব্যস্ততম মেক্সিকো সিটির বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
তুষারে ঢাকা ৫হাজার ৪২৪ মিটার দীর্ঘ পুপুকাটেপেটলের চূড়া থেকে শত শত বিস্ফোরণে লাভা ছিটকে বেরিয়েছে। পাহাড়ের ৯৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বাস করে। আগ্নেয়গিরিবিদরা বলছেন, বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাত আসন্ন মনে না হলেও অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত থাকতে পারে যেমনটি থেকেছে গত তিন দশক ধরে।
১৯৯৪ সাল থেকে "পোপো" নামে পরিচিত আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে যা মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি বা ইউএনএএম সনাক্ত করে তার প্রতি দৃষ্টি রাখছে।
আগ্নেয়গিরিটি সময়ে সময়ে তীব্রভাবে সক্রিয় হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল এবং আবার ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে আগ্নেয়গিরিটি অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। ২০০০ সালে আগ্নেয়গিরিটিআবার স্তিমিত হওয়ার আগে এর ক্রিয়াকলাপে রেড অ্যালার্টের সূচনা হয় এবং (লোকজনকে) অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছালে তা আবার নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে।
গত কয়েক সপ্তাহে, আগ্নেয়গিরিটি ঐ সময়ের মত অবস্থার মধ্যে এসেছিল। ছাই, গ্যাস এবং লাভা নিঃসরণের কারণে কর্তৃপক্ষ সতর্কতার স্তর বাড়িয়ে দ্বিতীয় করেছে যা স্টপলাইট-স্টাইল স্কেলে হলুদসংকেত দিয়েছে , তবে এখনও লাল সংকেতের পর্যয়ে পৌঁছায়নি।