সোমবার গ্রুপ অফ টুয়েন্টির প্রতিনিধিরা ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি পর্যটন সভায় অংশ নিতে পৌঁছেছেন। চীন এবং পাকিস্তান এই সভার নিন্দা করেছে। কর্তৃপক্ষ বিতর্কিত অঞ্চলের প্রধান শহরে নিরাপত্তার দৃশ্যমানতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে।
২০১৯ সালে নয়াদিল্লি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটির আধা-স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার পর সোমবার পরের দিকে নির্ধারিত বৈঠকটি কাশ্মীরের প্রথম উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক ঘটনা। ভারত আশা করছে, এই বৈঠক থেকে বোঝা যাবে, ঐ বিতর্কিত পরিবর্তনের ফলে ঐ অঞ্চলে "শান্তি এবং উন্নয়ন" হয়েছে।
প্রতিনিধিরা পরিবেশ বান্ধব পর্যটন এবং গন্তব্য ব্যবস্থাপনার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। ইকোট্যুরিজমের পার্শ্ব ইভেন্ট এবং পর্যটন গন্তব্যের প্রচারে চলচ্চিত্রের ভূমিকাও নির্ধারিত হয়েছে।
শনিবার ভারতের পর্যটন সচিব অরবিন্দ সিং সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, এই বৈঠকটি “শুধু পর্যটনের জন্য তার (কাশ্মীরের) সম্ভাবনা প্রদর্শনের জন্য নয় বরং বিশ্বব্যাপী এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এবং স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের সংকেত দেয়ার জন্য ছিল।”
কয়েক লক্ষ ভারতীয় সৈন্যসহ এই অঞ্চলটি বিশ্বের সবচেয়ে ভারী সামরিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি, ১৯৮৯ সালে এই অঞ্চলে সহিংস একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। এই বিদ্রোহে স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সাথে একীভূত হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ভারত নৃশংস একটি পালটা অভিযানের মাধ্যমে এর জবাব দেয়। সংঘর্ষে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য এবং বিদ্রোহী নিহত হয়।
জি টুয়েন্টি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির সমন্বয়ে গঠিত। প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন সদস্যদের অগ্রাধিকার নির্ধারণের মাধ্যমে তারা সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করে। ২০২৩ সালে ভারত গ্রুপটি পরিচালনা করছে।