সোমবার ভোরের দিকে গায়ানার একটি ছাত্রাবাসে আগুন ধরে যায়। ছাত্রাবাসটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এর বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আদিবাসী। আগুনে বোর্ডিং স্কুলটির ২০ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ একথা জানায়।
প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী বলেছেন, “এটি একটি ভয়ংকর ঘটনা। এটি দুঃখজনক। এটি বেদনাদায়ক।” তিনি জানান, তার সরকার শিশুদের যত্ন নেয়ার জন্য সম্ভাব্য সকল সংস্থান জোগাড় করছে।
সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, রাজধানী জর্জটাউনের প্রায় ২০০ মাইল (৩২০ কিলোমিটার) দক্ষিণে সোনা ও হীরার খনির এলাকার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত শহর মাহদিয়ার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ভবনে মধ্যরাতের কিছু পরে আগুনের সূত্রপাত হয়।
সরকার জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ছয়জনকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেরাল্ড গউভিয়া বলেন, স্কুলটি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী বেশিরভাগ আদিবাসী বাচ্চাদেরকে শিক্ষা প্রদান করে। তিনি বলেন, আগুনের কারণ কী হতে পারে তা অনুমান করার জন্য যথেষ্ট সময় এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, এলাকায় ভারী বজ্রপাত অবস্থা আরও কঠিন করে তোলে।
আলী বলেন, কর্মকর্তারা বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ করছেন এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য মনোবিজ্ঞানীদেরকে একত্রিত করছেন।
স্থানীয় সংবাদপত্র স্ট্যাবোক নিউজ জানিয়েছে, মেয়েদের একটি ডরমিটরিতে আগুন লেগেছিল।
বিরোধী আইনপ্রণেতা নাতাশা সিং-লুইস একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।