জাপানের হিরোশিমায় শিল্পোন্নত ৭ দেশের জোট, গ্রুপ অফ সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে রবিবার ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ক কর্ম-অধিবেশন আহবান করা হয়। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন ভলোদিমির জেলেন্সকি।
নাটকীয়ভাবে এক দিন আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শুক্রবার সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আরব লীগের সম্মেলনে যোগদান শেষে, একটি ফরাসি উড়োজাহাজে করে শহরটিতে আগমন করেন। সেখানে তিনি রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে ইউক্রেনের উদ্যোগের পক্ষে সমর্থন দেয়ার জন্য আহবান জানান।
তার নিজস্ব ভঙ্গিমায়, হুডযুক্ত সোয়েটার পরে জেলেন্সকি জি-সেভেনের সব নেতা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা না করায় মোদী সমালোচিত হন।
জেলেন্সকির সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরো ৩৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বাড়তি সহায়তার ঘোষণা দেন। বাইডেন বলেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সক্ষমতা বাড়াতে এই প্যাকেজে আরো গোলাবারুদ, কামানের গোলা, সাঁজোয়া যান যুক্ত করা হয়েছে।”
শীর্ষ ম্মেলনের প্রথম দিন, জি-সেভেন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কঠোরতর করেছে। এছাড়া, যারা মস্কোকে সাহায্য করছে অথবা আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে সহায়তা করছে, তাদেরকে দমন করার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে, কিয়েভের জন্য সবচেয়ে উৎসাহব্যঞ্জক বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র অবশেষে রাজি হয়েছে, তার মিত্ররা ইউক্রেনকে এফ-সিক্সটিন যুদ্ধ বিমান দিতে পারবে এবং সেগুলো ওড়ানোর জন্য ইউক্রেনীয় বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারবে।
এর আগে, সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশংকায় বেশ কয়েক মাস ধরে বাইডেন ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য জেলেন্সকির যুদ্ধবিমানের অনুরোধে সাড়া দিচ্ছিলেন না। ইউক্রেনের বিমান বহরের বেশিরভাগ যুদ্ধবিমান সোভিয়েত আমলের।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করবে যে রুশ ভূখণ্ডে হামলার জন্য যেন এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা না হয়।
শনিবার প্রকাশিত যৌথ বক্তব্যে জি-সেভেনের নেতারা আবারো “সম্ভাব্য কঠোর ভাষা প্রয়োগ করে” ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা জানিয়েছেন।