অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সুদানের রাজধানীতে ব্যাপক লুটপাট: রাষ্ট্র কোথায়?


সুদানের খার্তুমে ক্ষতিগ্রস্ত এয়ার ডিফেন্স ফোর্সেস কমান্ড সেন্টারের কাছে দাঁড়িয়ে আরএসএফ যোদ্ধারা। ১৭ মে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও থেকে নেয়া ছবি।
সুদানের খার্তুমে ক্ষতিগ্রস্ত এয়ার ডিফেন্স ফোর্সেস কমান্ড সেন্টারের কাছে দাঁড়িয়ে আরএসএফ যোদ্ধারা। ১৭ মে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও থেকে নেয়া ছবি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের ফলে সশস্ত্র ও বেসামরিক ব্যক্তিরা ব্যাপক লুটপাটে লিপ্ত হওয়ায় আটকে পড়া খার্তুমের বাসিন্দাদের জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫ এপ্রিল খার্তুমে যখন লড়াই শুরু হয়, তখন আরএসএফ রাজধানীতে আধিপত্য বিস্তার করে এবং সেনাবাহিনী যখন ঘন ঘন বিমান হামলা চালায় তখন পুলিশ রাস্তা থেকে একেবারেই উধাও হয়ে যায়।

৩৫ বছর বয়সী সরকারি কর্মচারী সারাহ আবদেলাজিম বলেন, “আমাদের রক্ষা করার জন্য কেউ নেই। পুলিশ নেই। রাষ্ট্র নেই। অপরাধীরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে এবং আমাদের সবকিছু কেড়ে নিচ্ছে।”

খার্তুমে যখন এই লংকাকান্ড চলছে, তখন সেনাবাহিনী আরএসএফের বিরুদ্ধে ব্যাংক, স্বর্ণের বাজার, বাড়িঘর এবং যানবাহন লুট করার অভিযোগ এনেছে। তবে আরএসএফ ঐসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তাদের সেনারা লুটতরাজকারীদের গ্রেপ্তার করার ভিডিও প্রকাশ করেছে। আধাসামরিক বাহিনী বলছে, কিছু লোক আরএসএফ ইউনিফর্ম পরে চুরি করছে তাদের খারাপ দেখানোর জন্য।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আরএসএফ গাড়ি চুরি করেছে এবং মানুষের বাড়িতে শিবির স্থাপন করেছে। তবে আরএসএফও ঐসব (অভিযোগও) অস্বীকার করেছে।

যুদ্ধের শুরুতে সুদানের সবচেয়ে বিপজ্জনক দুটি কারাগার কোবার ও আল হুদা থেকে ১৭ হাজারেরও বেশি লোককে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কারাগার ভাঙার জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করে থাকে।

XS
SM
MD
LG