ভিয়েতনাম বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চীন সাগরে একটি চীনা গবেষণা জাহাজ এবং ফিলিপাইন কোস্ট গার্ডের সাম্প্রতিক তত্পরতার সমালোচনা করেছে এবং তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে পৃথক পদক্ষেপের অভিযোগ করেছে যা তার সার্বভৌম অধিকার লঙ্ঘন করছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অংশগুলিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই অঞ্চলই বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ এবং এই পথদিয়েই জাহাজের মাধ্যমে বার্ষিক ৩ লক্ষ কোটি ডলারেরও বেশি বাণিজ্য হয়ে থাকে।
হ্যানয়ের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (ইইজেড) মধ্যে চীনেরএকটি গবেষণা জাহাজ ঢোকার সময় চীন এবং ভিয়েতনামের জাহাজগুলি সাম্প্রতিক দিনগুলিতে একাধিকবার একটি অন্যটির মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে সম্ভবত এটি একটি জরিপকারী জাহাজ ছিল। বিনা ঘোষণায় পরিচালিত এই জাতীয় জরিপ সাধারণত আগ্রাসন হিসাবেই বিবেচিত হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ফাম থু হাং-কে ঐ বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে তিনিবলেন, জাহাজগুলো ভিয়েতনামের সার্বভৌম অধিকার ও এখতিয়ার লঙ্ঘন করছে। ভিয়েতনাম তার অধিকার সুরক্ষার জন্য যথার্থ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
চীন বলেছে, চীনের আওতাধীন এলাকায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা তাদের জন্য স্বাভাবিক।
পুরোনো মানচিত্রের ভিত্তিতে ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও চারটি দেশের ইইজেডের মধ্যে অবস্থিত সমুদ্রসহ চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরকে তাদের অঞ্চল বলে দাবি করে।
চরম বিতর্কিত স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের উপর সার্বভৌমত্ব দাবি করার জন্য ফিলিপাইনকে তার ইইজেডের পাঁচটি অঞ্চলে জলে ভাসমান রাখার জন্য বয়েস স্থাপনের জন্যও সমালোচনা করা হয়েছিল যার কিছু অংশ ভিয়েতনামও দাবি করে।
ফিলিপাইনের ঐ পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে হ্যাং বলেন, “ভিয়েতনামের সার্বভৌম অধিকার লঙ্ঘনকারী সব কর্মকাণ্ডের কঠোর বিরোধিতা করে ভিয়েতনাম।”
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র তেরেসিতা দাজা বলেন, উপকূলীয় রাষ্ট্র হিসেবে ম্যানিলার উপকুল রক্ষীদের বয়েস স্থাপন জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক কনভেনশনের আওতায় দেশটির অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
রয়টার্সকে দেওয়া এক ফোন বার্তায় দাজা বলেন, “সেগুলো আমাদের জলসীমায় চলাচলের নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে এবং এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।”