মঞ্চে ছুরিকাঘাত ও গুরুতর আহত হওয়ার নয় মাস পর লেখক সালমান রুশদি প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখলেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে, পশ্চিমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা তার জীবদ্দশায় সবচেয়ে গুরুতর হুমকির মধ্যে রয়েছে।
রুশদি ব্রিটিশ বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য একটি ভিডিও বার্তা দেন। সোমবার সন্ধ্যায় সেখানে তাকে ফ্রিডম টু পাবলিশ পুরস্কারে ভুষিত করা হয়। আয়োজকরা বলেছেন, এই সম্মান "লেখক, প্রকাশক এবং বই বিক্রেতা যারা চলমান হুমকির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাদের দৃঢ় সংকল্পকে স্বীকৃতি দেয়।"
রুশদিকে (৭৫) আক্রমণের আগে থেকে পাতলা দেখাচ্ছিল। তিনি একটি টিন্টেড লেন্সের চশমা পরেছিলেন। আগস্ট মাসে নিউইয়র্ক রাজ্যে একটি সাহিত্য উৎসবে আক্রমণের ফলে তার ডান চোখ বন্ধ হয়ে যায় এবং তার হাতের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তার কথিত হামলাকারি হাদি মাতার হামলা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
ইরানের গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি ১৯৮৯ সালে “দ্য স্যাটানিক ভার্সেস” উপন্যাসের কথিত ব্লাসফেমির জন্য তাকে হত্যার ফতোয়া বা আদেশ জারি করার পর রুশদি বহু বছর পুলিশি সুরক্ষায় ছিলেন।
১৯৯৮ সালে ইরান সরকার যখন বলে যে, তারা রুশদিকে হত্যা করার কোনো প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে না, এর পর থেকে তিনি ধীরে ধীরে জনজীবনে ফিরে আসেন। তবে ফতোয়াটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়নি।
রুশদি তার “মিডনাইটস চিলড্রেন” উপন্যাসের জন্য ১৯৮১ সালে বুকার পুরস্কার জিতেছিলেন এবং ২০০৮ সালে ঐ মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কারের সেরা বিজয়ী নির্বাচিত হন। তার সাম্প্রতিকতম উপন্যাস “ভিক্টরি সিটি” আক্রমণের এক মাস আগে সমাপ্ত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে এটি প্রকাশিত হয়।