চলতি বোরো মৌসুমে চার লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে কৃষক ধানের সঠিক দাম না পেলে, সরকার প্রয়োজনে সাত থেকে লাখ টন ধান কিনবে। আর চাল কেনা হবে সাড়ে ১২ লাখ টন। ধান, চাল ও গম মিলিয়ে এ মওসুমে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে সাড়ে ১৭ লাখ টন। এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রবিবার (৭ মে) সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান-এর ভার্চুয়াল উদ্বোধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, “বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না। সরকার চায় কৃষক তার ফসলের ভালো দাম পাক। কৃষক ভালো দাম পেলেই আমরা খুশি। আর সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।”
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “অনেকে মনে করেছিলেন দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, অনেক কামাই করবেন। এজন্য আমন মৌসুমে তারা মজুদ করেছিলোৈ। তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।” তিনি বলেন, “সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকার এবার বেশি দামে ধান কিনছে। কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনায় এটা করা হয়েছে। কৃষকরা ধান দিতে এসে যেন কষ্ট না পায়। ধান দিতে এসে যেন ফেরত না যায়। সেটা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিশ্চিত করতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় বোরো ধান, চাল ও গমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ মৌসুমে চার লাখ টন ধান, ১২ দশমিক ৫০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
আভ্যন্তরীণ সংগ্রহ রবিবার (৭ মে) থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ৩১ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা। গত বছর, ২০২২ সালে দাম ছিলো, ধান ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং গম ২৮ টাকা।