বুধবার ইরান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট দুই মিত্র দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে তেল ও অন্যান্য খাতে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
ইরানের ইব্রাহিম রাইসি, এক বৃহৎ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদল নিয়ে তার সিরিয়ার সহপক্ষ, বাশার আসাদের সাথে দেখা করেন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটিতে দু'দিনের সফরে পৌঁছেছেন তিনি। ২০১০ সালের পর ইরানের কোন প্রেসিডেন্টের এটিই প্রথম দামেস্ক সফর।
২০১১ সালের বিদ্রোহ পূর্ণ গৃহযুদ্ধে পরিণত হওয়ার পর থেকে তেহরান আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক। ঐ সংঘাতটি আসাদের পক্ষে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তেহরান।
আসাদের পক্ষে লড়াই করার জন্য ইরান মধ্যপ্রাচ্যে থেকে কয়েক হাজার সামরিক উপদেষ্টা এবং হাজার হাজার ইরান-সমর্থিত যোদ্ধা সিরিয়ায় পাঠিয়েছে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও তেহরান আসাদকে সাহায্য করেছে। কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্বালানি এবং অর্থ সাহায্য আসাদকে পাঠাচ্ছে।
সিরিয়ার সরকারি বাহিনী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার প্রধান দুই মিত্র রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় দেশের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে।
যে আরব সরকারগুলি একসময় আসাদের পতনের পক্ষে ছিল বর্তমানে তারা দামেস্কের সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পর্ক সংশোধন করছে। বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ দিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে কয়েক দশক ধরে যে সাহায্যে করেছে ইরান তার প্রতিদান হিসেবে নিজেদের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে উদ্ধার করার জন্য সাহায্য চাইতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাইসি এবং আসাদ তেল, কৃষি, রেলপথ এবং মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল সহ বেশ কয়েকটি খাতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন।