জাম্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এডগার লুঙ্গুর বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে দেশটির পুলিশ। দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসাবে এই অনুসন্ধান বলে তারা প্রাথমিকভাবে দাবি করছে।
জাম্বিয়ার বিগত ক্ষমতাসীন প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট পার্টির একজন মুখপাত্র রাফেল নাকাচিন্দা ভিওএ-কে বলেছেন, পুলিশ জোরপূর্বক সাবেক প্রেসিডেন্ট লুসাকার বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছে।
নাকাচিন্দা বলেন, "এটি কেবল অসাংবিধানিকই নয়, অপরাধমূলকও - এই সরকার কখনই দেশের সর্বোচ্চ আইনকে সম্মান করে না, যে সংবিধান মোতাবেক সাবেক প্রেসিডেন্টকে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা।"
জাম্বিয়ান পুলিশের মুখপাত্র ড্যান মওয়ালে বুধবার বিকেলে ভিওএ-কে বলেছেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত তার বাসভবনের বাইরেই অবস্থান করছে।
মওয়ালে বলেন, "পুলিশ কর্মকর্তারা বর্তমানে রাজ্যের সাবেক প্রধানের বাসভবনেই অবস্থান করছে। তবে আমরা কেন বাড়িটি ঘেরাও করেছি, সে বিষয়ে আমরা এখুনি কোনও বিবৃতি দিতে পারছি না।"
জাম্বিয়ার অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং এজেন্সি রাজধানী লুসাকায় ১৫টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিকানার বিষয়ে সাবেক ফার্স্ট লেডি এথার লুঙ্গুকে তলব করার ১০ মাস পর, পুলিশ এই পদক্ষেপ নিল।
তদন্তকারীরা বলছেন, তাদের বিশ্বাস অ্যাপার্টমেন্টগুলি অবৈধভাবে অর্জিত হয়েছে। তবে, প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট পার্টির এক মুখপাত্রের মতে, লুঙ্গু দম্পতি তাদের বিরুদ্ধে আনিত অন্যায়ের অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছেন।
তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো অভিযোগ দাখিল করা হয়নি। লুঙ্গুর আইনজীবী সংবাদ দাতাদের জানান, বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
সমালোচকরা বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারি অভিযানে রাজনৈতিক বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, এবং তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট লুঙ্গুর অধীনে কাজ করা অসংখ্য কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, তার পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাকাইন্দে হিচিলেমা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার চলমান অভিযানে বিরোধীদের টার্গেট করছেন, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। লুঙ্গুর দল প্রায় দুই বছর আগে হিচিলেমা এবং তার ইউনাইটেড পার্টি ফর ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের কাছে পরাজিত হয়।