সুদান সংঘাতে লড়াইরত পক্ষগুলো আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে।রবিবার তারা বলেছে যে, মধ্যরাতে শেষ হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি আরো ৭২ ঘণ্টা বাড়ানো হবে।
সুদানে ইতোমধ্যেই একটি যুদ্ধবিরতি চলছে; তবে উভয় পক্ষই এই যুদ্ধবিরতি ব্যাপকভাবে উপেক্ষা করছে। জনগণকে নিরাপদে সরে যেতে এবং দেশটিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছার জন্য লড়াইরত দুই পক্ষই এই যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করেছিলো; তার পরও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “১৫ এপ্রিল টিমের তিন সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর সংস্থার কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো, জাতিসংঘের এই সংস্থাটি সে সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।”
গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সামরিক বাহিনী এবং একটি আধাসামরিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহানের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের কারণে কয়েক হাজার মানুষ এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েকশ’ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। প্রধানত রাজধানী খার্তুমেই তীব্র লড়াই হয়েছে।
সংঘাতের কারণে, খাদ্য এবং পানির মতো মৌলিক প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দেশটিতে থেকে যাওয়া চিকিৎসা কর্মীদের কাছে যথাযথ সরঞ্জাম ও উপকরণ নেই। চিকিৎসা উপকরণের প্রথম চালান খার্তুমে পৌঁছালেও, সংঘাতের কারণে চিকিৎসাকর্মীরা এই উপকরণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেনি।