সিরিয়াকে বিভক্তকারী এখন প্রধানত থমকে থাকা যুদ্ধ -রেখার বিপরীত দিকে বসবাসরত সিরীয়রা বাশার আসাদ সরকার এবং সিরিয়ার প্রতিবেশীদের মধ্যকার সম্পর্কের তড়িত্ স্বাভাবিকীকরণকে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছে।
সরকার নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ায় ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি এবং বিদ্যুতের ঘাটতির সাথে সংগ্রামরত বাসিন্দারা আশা করছেন যে, এই সম্প্রীতি আরও বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সূচনা ঘটাবে এবং একটি পঙ্গু অর্থনৈতিক সংকটের নিরসন ঘটবে।
এদিকে উত্তরের অবশিষ্ট বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যে সিরীয়রা একসময় সৌদি আরব এবং অন্যান্য আরব দেশগুলোকে আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে মিত্র হিসেবে দেখেছিল তারা ক্রমশ বিচ্ছিন্ন এবং পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছে।
আসাদের সশস্ত্র বিরোধীদের প্রধান সমর্থক তুরস্ক কয়েক মাস ধরে দামেস্কের সাথে আলোচনা করছে। সম্প্রতি মঙ্গলবার যখন তুরস্ক, রাশিয়া, ইরান এবং সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা মস্কোতে মিলিত হয়েছিলেন তখনো তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
২০১১ সালের একটি বিদ্রোহে বিক্ষোভকারীদের ওপর আসাদের নৃশংস দমন-পীড়নের কারণে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে আরব সরকারগুলো সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আসাদ দেশের বেশিরভাগ মানুষের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে সিরিয়ার প্রতিবেশীরা সমঝোতার দিকে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
২০১১ সালের আগে সৌদি আরব সিরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার ছিল। ২০১০ সালে দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ১৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। তবে দূতাবাসগুলো বন্ধ করে দেয়ায় অর্থনৈতিক লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, তবে তা দ্রুত কমে গিয়েছিল।
দেশের অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করে সিরিয়া রিপোর্ট। এটি জানিয়েছে, সিরিয়া-সৌদি বাণিজ্য ২০১৭ সালে ৯ কোটি ২০ লাখ ৩৫ হাজার ডলার থেকে বেড়ে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার ডলারে পরিণত হয়েছে।