অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চাঁদের মাটিতে নামার আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জাপানি চন্দ্রযান


হাকুতো-আর প্রাইভেট চন্দ্র অন্বেষণ প্রোগ্রামের ল্যান্ডারের একটি মডেল, জাপানের টোকিওতে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ এমার্জিং সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন, মিরাইকানে প্রদর্শিত হচ্ছে। ২৬ এপ্রিল, ২০২৩।
হাকুতো-আর প্রাইভেট চন্দ্র অন্বেষণ প্রোগ্রামের ল্যান্ডারের একটি মডেল, জাপানের টোকিওতে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ এমার্জিং সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন, মিরাইকানে প্রদর্শিত হচ্ছে। ২৬ এপ্রিল, ২০২৩।

বুধবার ভোরে জাপানের একটি কোম্পানি চাঁদের মাটিতে তাদের নিজস্ব মহাকাশযান অবতরণ করানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চাঁদের মাটিতে অবতরণের কিছুক্ষণ আগে ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা মহাকাশযানটির সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলায়, শেষ পর্যন্ত এর ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা আর জানা যাচ্ছে না।

ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা টোকিওতে তাদের স্ক্রীনের দিকে অপলক তাকিয়েছিল, কিন্তু তাদের দৃষ্টি ছিল অভিব্যক্তিহীন। কারণ সময় বয়ে যায়, কিন্তু তখনও ল্যান্ডারটি থেকে কোনও সাড়া মেলেনা।

ওয়েবকাস্টের একজন ভাষ্যকার সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ শেষ পর্যন্ত কী ঘটতে পারে, নিয়ন্ত্রকরা এখনো তা তদন্ত করে দেখছে।

তিনি সবাইকে অনুরোধ করে বলেন, "দয়া করে আমাদের নিশ্চিত করার জন্য আরও অন্তত কয়েকটা মিনিট সময় দিন।"

কোম্পানিটি সফল হলে, আইস্পেস হত প্রথম ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যারা চন্দ্রে অবতরণের পথ উন্মোচিত করার ইতিহাস গড়ত।

এ পর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশের চন্দ্রযান সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করতে পেরেছে। দেশগুলো হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া, এবং চীন। জাপানের মহাকাশযানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য একটি মিনি চন্দ্র রোভার এবং জাপানের একটি খেলনার মতো রোবট বহন করেছিল, যা চাঁদের ধুলায় ঘুরে বেড়াতে পারে। চন্দ্রযানটিতে ব্যক্তিগত গ্রাহকদের কিছু জিনিস পত্রও ছিল।

XS
SM
MD
LG