চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্ভাব্য সংঘর্ষের প্রস্তুতির জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনী তার গঠন ও পদ্ধতিতে দ্রুত পরিবর্তন আনবে।
সোমবার প্রকাশিত, উন্মুক্ত করে দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা মূল্যায়নে সুপারিশ করা হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়া “ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে বৈশ্বিক বিধি-বিধান ভিত্তিক শৃঙ্খলার” প্রতি চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলা করতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে।প্রতিবেদনে, কয়েক দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
এই প্রতিরক্ষা মূল্যায়নে, চীনকে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। তবে সতর্ক করা হয়েছে যে বেইজিং-এর দ্রুত সামরিক সাজ-সজ্জা এবং দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে তাদের আধিপত্যের আকাঙ্ক্ষা অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “এই অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা…সরাসরি আমাদের জাতীয় স্বার্থকে হুমকি দিচ্ছে।”
অষ্ট্রেলিয়া যে কোনো ধরনের সরাসরি সংঘাতের ঝঁকি মোকাবেলায় কয়েক দশক ধরে প্রস্তত থাকবে বলে যে ধারণা রয়েছে, সেই ধারণার ইতি টানতে প্রতিবেদনে অস্ট্রেলীয় সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়ছে।
সোমবার ক্যানবেরায় সংবাদদাতাদের সাথে কথা বলার সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেন, দেশের সামরিক বাহিনীকে আধুনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর মূল্যায়নে সতর্ক করা হয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন “অপ্রতিরোধ্য” প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে ঝুঁকিপূর্ণ করেছে। কারণ, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলোকে দুর্যোগ ত্রাণ এবং মানবিক সহায়তার জন্য সামরিক বাহিনীর ওপর ক্রমবর্ধমান হারে নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।
ক্যানবেরার সরকার বলেছে, তারা প্রতিরক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ১২৬০ কোটি ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে।
বেইজিং-এর কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আলবেনিজ এর আগে জোর দিয়ে বলেছিল যে, অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীনের সাথে আরো ভালো সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। তবে, দেশ দুটি অনিবার্যভাবে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে।