যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রবিবার টুইটারে প্রকাশিত হালনাগাদ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়া তার ইউক্রেন যুদ্ধে লড়ার জন্য নিয়োগ করতে “প্রকৃত বীরদের”(রিয়েল ম্যান)সন্ধান করছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরো জানিয়েছে, বিলবোর্ড, টিভি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত নতুন বিজ্ঞাপনে, রুশ সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য আর্থিক পুরস্কারের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।তবে, রাশিয়ার লক্ষ্য অনুযায়ী ৪ লাখ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়ার “সম্ভাবনা খুবই কম।”
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দৈনিক হালনাগাদ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে শনিবার জানানো হয়েছে যে রাশিয়া “ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতার পক্ষে যে মূল উপাখ্যান রচনা করেছে, সেই উপাখ্যানকে সত্যি প্রমান করতে এখন লড়ছে।” রুশ উপাখ্যানটি হলো, ইউক্রেনে আগ্রাসনের অভিজ্ঞতা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত অভিজ্ঞতার অনুরূপ।
এ মাসের শুরুতে রাশিয়া নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ইমমরটাল রেজিমেন্টের “গ্রেট প্যাট্রিওটিক ওয়ার” স্মারক পদযাত্রা বাতিল করে।মন্ত্রক জানায়,“বাস্তবে, কর্তৃপক্ষ খুব সম্ভবত উদ্বিগ্ন ছিলো যে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে রাশিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতি ফুটে উঠতে পারে।”
রুশ সামরিক বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত-সংখ্যা কমিয়ে বলে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম আরএফই/আরএলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ মাস আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের শহর মাকিয়িভকায় ইউক্রেনের হামলায় ৪শ’ রুশ সেনা নিহত হয়। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে ৮৯ জনের মৃত্যু নথিভুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, (রুশ) সরকারের স্বচ্ছতার অভাবে, অনেক রুশ নাগরিক নিরুপায় হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে তাদের হারিয়ে যাওয়া আত্মীয়দের খোঁজ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ব্রিটিশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেন হামলা নিয়ে রাশিয়ার আরেকটি উপাখ্যান হচ্ছে, তারা ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করার জন্য দেশটিতে আগ্রাসন চালিয়েছে। তবে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধু ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন, ইউক্রেনে নাৎসি উপস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন।এর ফলে,এবিষয়ে রাশিয়ার যুক্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।