সুদানের আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) শুক্রবার বলেছে, তারা সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। আফ্রিকার এই দেশে কয়েক দিন ধরে চলমান জীবন সংহারী লড়াইয়ের অন্তত একটা অস্থায়ী অবসানের লক্ষ্যে এই যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা করা হয়। এই সংঘাতে কয়েকশ’ মানুষ নিহত হয়েছেন।
মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস শেষে উদযাপিত হয় ঈদ। তবে আরএসএফ-এর প্রতিদ্বন্দ্বী সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি পালনের বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
গুতেরেস সংবাদদাতাদের বলেন,বর্তমান সহিংস পরিস্থিতিতে সাহায্য-কর্মীদের পক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা করা “কার্যত অসম্ভব”। তিনি ত্রাণ-কর্মীদের আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত করা বন্ধ করতে যোদ্ধাদের প্রতি আহবান জানান।
যুদ্ধের শুরুতে, দারফুরে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তিনজন কর্মী গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন। অন্যদের হয়রানি করা হয়েছে এবং ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, দক্ষিণ দারফুরের নিয়ালায় অবস্থিত তাদের একটি গুদাম থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য চুরি হয়ে গেছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, সুদানের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা “সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়তে পারে।” হাসপাতালগুলোতে রক্ত, আরো কর্মী এবং সরবরাহ প্রয়োজন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এই সপ্তাহে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার সুদানি প্রতিবেশী চাদে পালিয়ে গেছে।
আফ্রিকান ইউনিয়ন, আরব লীগ এবং আইজিএডিসহ সারা বিশ্ব থেকে এবং আফ্রিকা থেকে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে, সুদানের দুই শীর্ষ জেনারেল এখনো আলোচনার জন্য কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেনি; বরং প্রত্যেকেই একে অন্যের আত্মসমর্পণের দাবি জানিয়েছেন।