অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইয়েমেনের বন্দীদের মুক্তিকে ৮ বছরের সংঘাত অবসানের পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত


আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) চার্টার্ড বিমানে করে সানা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ইয়েমেনের সানায় ইয়েমেন সংঘাতে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দী বিনিময়।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) চার্টার্ড বিমানে করে সানা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ইয়েমেনের সানায় ইয়েমেন সংঘাতে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দী বিনিময়।

ইয়েমেনের আট বছরের জটিল সংঘাতের ফলে দরিদ্রতম এই আরব দেশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যে ফেলেছে। তবেপর্যবেক্ষকরা এখন বলছেন, বন্দীদের মুক্তিদান যুদ্ধ অবসানের প্রথম ধাপ।

ইরান সমর্থিত শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব ২০১৫ সালে সামরিক হস্তক্ষেপ করেছিল এই আশায়, ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে যে জঙ্গিরা উৎখাত করেছিল তারা সেই সরকারকে পুনরায় অধিষ্ঠিত করতে পারবে।

কিন্তু সৌদি ভূখণ্ডে হুতিদের ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা এবং সৌদি আরবকে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি প্রধান পর্যটন ও লজিস্টিক কেন্দ্রেপরিণত করার অর্থনৈতিক যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা তা রিয়াদকে ইয়েমেনেরসংঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে আগ্রহী করে তুলেছে।

চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার আলোচনার ফলে (যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার) একটি পথ তৈরি করতে পারে।

হেলেন ল্যাকনার ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশনসের প্রাক্তন গবেষক এবং ইয়েমেন ইন ক্রাইসিসসহ ইয়েমেন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বইয়ের লেখক এবং২০১৮সালে সাহিত্য সমিতি গ্র্যান্ড প্রিক্স-এর গবেষণা বিভাগের বিজয়ী।

ল্যাকনার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন যে বন্দী বিনিময়ের এই প্রত্যাশিত সূচনা সংঘাতের দীর্ঘমেয়াদী নিষ্পত্তি সম্পর্কে সৌদি-হুতি আলোচনা থেকে পৃথক। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে আইআরজি হিসাবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “বন্দীদের মুক্তিদান একটি চমৎকার খবর। এখনো ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছে। সৌদি আরব ও হুথিদের মধ্যে কোনো না কোনো ভাবে (চুক্তি) অথবা অদূর ভবিষ্যতে আইআরজির স্বাক্ষরের মাধ্যমে একটি চুক্তির সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। তবে এটা ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকট এবং কিছু অংশে সামরিক সংকটের সমাধান দিবে না এবং অবশ্যই এই ধরনের চুক্তির মাধ্যমে মানবিক সংকটের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটবে না।”

XS
SM
MD
LG