অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চান্দ্র নববর্ষ উপলক্ষে ৩ হাজার বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সেনা শাসকরা


মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে ইনসেইন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের স্বাগত জানাচ্ছেন তাদের সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা; ১৭ এপ্রিল, ২০২৩।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে ইনসেইন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের স্বাগত জানাচ্ছেন তাদের সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা; ১৭ এপ্রিল, ২০২৩।

মিয়ানমারের সামরিক সরকার সোমবার ঐতিহ্যবাহী চান্দ্র নববর্ষের ছুটির দিন উপলক্ষে ৩ হাজারের বেশি বন্দীর জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। তবে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সেনা শাসনের বিরোধিতা করার কারণে আটক করা হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দীদের কেউ অন্তর্ভুক্ত ছিলো কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

রাষ্ট্রচালিত টেলিভিশন এমআরটিভি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ক্ষমতা দখল করার পর, সামরিক বাহিনী দ্বারা গঠিত শাসক পরিষদ, স্টেট এডিমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল ৩ হাজার ১১৩ জন বন্দীকে ক্ষমা করেছে। এদের মধ্যে ৯৮ জন বিদেশী। তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে। বড় কোনো উৎসবের ছুটিতে বন্দী-মুক্তি একটি সাধারণ বিষয়।

স্বাধীন সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স-এর মতে, মিয়ানমারের সাবেক বেসামরিক নেতা অং সান সু চিসহ প্রায় ১৭ হাজার ৪৬০ জন রাজনৈতিক বন্দী গত বুধবার পর্যন্ত আটক ছিলেন। এই সংস্থাটি রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে। গ্রেপ্তার এবং হতাহত হওয়া ব্যক্তিদের বিস্তারিত তালিকা তৈরি এবং সংরক্ষণ করে।

মিয়ানমার ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেনা শাসিত দেশ। ঐ সময় সেনাবাহিনী সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ক্ষমতা দখলের সময় ব্যাপক অহিংস প্রতিরোধের মুখোমুখি হয় সামরিক বাহিনী। পরে এই প্রতিরোধ সশস্ত্র সংগ্রামের রূপ লাভ করে।

অ্যাসিস্টেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানায়, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৩ হাজার ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই তালিকায়, যুদ্ধে হতাহত ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত নন।

সাবেক রাজনৈতিক বন্দীদের সংগঠন, ফর্মার পলিটিক্যাল প্রিজনার্স সোসাইটির জ্যেষ্ঠ সদস্য তুন কাই বলেন, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দী থাকবেন তা জানা নেই। কোনো কারণে যদি থাকে, তবে এটি সামরিক সরকারের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে নেয়া একটি পদক্ষেপ।

XS
SM
MD
LG