সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই-এর পুরাতন এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত এবং আরো ৯ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ রবিবার এ কথা জানিয়েছে।
দুবাইয়ের ঐতিহাসিক দেইরা এলাকার আল-মুরার বসতির একটি অ্যাপার্টমেন্টে শনিবার এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।ধারণা করা হচ্ছে এই অ্যাপার্টমেন্টে বহু মানুষ ভাগাভাগি করে বাস করতো। আকাশচুম্বী ভবনের জন্য বিখ্যাত এই নগর রাষ্ট্রে সাধারণত শ্রমিকরা এমনভাবে অ্যাপার্টমেন্ট ভাগাভাগি করে বসবাস করে। আর এই শ্রমিকরাই দেশটির অর্থনৈতিক বিকাশের প্রাণশক্তি। প্রায়শই প্লাইউড, ড্রাইওয়াল বা স্ননঘরের পর্দা দিয়ে অস্থায়ীভাবে রুম ভাগাভাগি করে তারা বসবাস করে। আর এগুলো আগুনের বড় ঝুঁকিতে পরিণত হয়।
দুবাই সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে এই নগররাষ্ট্রের মিডিয়া অফিস একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে এই নিহতের সংখ্যা জানানো হয়। তবে, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রশ্নের কোন উত্তর দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
রবিবার পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুনে পোড়ার চিহ্ন দেখা যায়। এই ভবনে একটি মুদি দোকান, একটি ধুমপানের দোকান এবং নিচতলায় অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো। ক্রাইম সিন লেখা হলুদ রঙের টেপ দিয়ে পুলিশ ভবনটি ঘিরে রেখেছে। সেখানে এখনো প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় সেই এলাকার কাছে কাজ করা এক ব্যক্তি পুলিশকে জানায়, শনিবার বিকেলে আগুনের সূত্রপাত হয়।তিনি এপিকে জানান, ওখানে একটি বিষ্ফোরণ হয়েছে, যেমন হয়, যখন কোন গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগে।বিস্ফোরণের পর কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে বলে জানান তিনি। এই ব্যক্তি আরো বলেন, প্রতিবেশীরা বিশ্বাস করেন যে অগ্নিকাণ্ডের সময় ওখানকার বাসিন্দারা ঘুমোচ্ছিলেন। রমজানে রোজাদার মুসলিমরা সুর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন। ফলে বিকেলের বিশ্রাম একটা স্বাভাবিক ঘটনা।
ঐ ব্যক্তি তার নাম বলার সময় দুবাই পুলিশের এক কর্মকর্তা এপি প্রতিবেদককে তার নাম সংগ্রহ করতে বাধা দেন এবং প্রতিবেদককে এলাকা থেকে সরে যেতে বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ভবনের নিরাপত্তা মান্যতার অভাব এবং নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয় মেনে না চলার কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আর, অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যাপক তদন্ত করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় ।