তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ও সহযোগিতা পর্যালোচনা করার জন্য উজবেকিস্তানের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও চীনসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে
উজবেকিস্তানের সমরকন্দ শহরে এই সম্মেলন এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন উগ্রবাদী তালিবান বিশ্ব সংস্থায় নারী কর্মীদের কাজ করতে নিষেধ করার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে জাতিসংঘনিজের উপস্থিতি পর্যালোচনা করছে।
তালিবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের ছয় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। ঐ দেশগুলো হচ্ছে রাশিয়া এবং চীনসহ পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান।
"মুত্তাকিরের কার্যালয় থেকে এক টুইটার বার্তায় তালিবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমরকান্দে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, উজবেকিস্তানের কর্মকর্তারা তাকে 'উষ্ণভাবে' অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও বৈঠকে যোগ দিতে সমরকান্দে পৌঁছেছেন।
বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সমরকান্দ বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা “আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতির উন্নয়ন এবং এর আগের চুক্তির আওতায় কাবুলের সঙ্গে পরিবহন ও জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকেও মনোনিবেশ করবেন।
বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিং নারীদের ওপর তালিবানের বিধিনিষেধ এবং রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির অভাব নিয়ে সমালোচনার জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, বেইজিং "মধ্যপন্থী, বিচক্ষণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গ্রহণে আফগান সরকারকে সমর্থন করে”।
ওয়াং বলেন, তার সরকার তালিবান সরকারের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখেছে যাতে তারা এবং আফগান জনগণ পুনর্গঠন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে।